চব্বিশ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১৪০ নাগরিকের। মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ এই তথ্য দিয়েছে। ইজরায়েলের বাহিনী আইডিএফ ফের ঘর ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। প্যালেস্তাইণ সরকারি বার্তায় জানিয়েছে যে গাজায় মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
ইজরায়েল এখন বেছে বেছে গাজার উদ্বাস্তু শিবিরে হামলা চালিয়েছে। জাবালিয়ার পর বোমা ফেলা হয়েছে আল শানটি উদ্বাস্তু শিবিরে। মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৪০, বলেছে গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ। জানানো হয়েছে, বহু মানুষ চাপা পড়ে রয়েছেন ভেঙে পড়া কংক্রিটের স্তূপের নিচে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
ইজরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। মঙ্গলবার ইরান বলেছে, অবিশ্রান্ত বোমাবর্ষণ চললে পশ্চিম এশিয়ার অন্যত্র দ্রুত ছড়াবে সংঘাত। কাতারও বলেছে যে সন্ত্রাসবাদী নিকেশ করার নামে নিরীহ মানুষকে হত্যা করার ছাড়পত্র দাবি করতে পারে না ইজরায়েল।
ইজরায়েল যদিও সে সব হুঁশিয়ারি উপেক্ষাই করে চলেছে। মঙ্গলবার সে দেশের সেনা মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি জানিয়েছেন, ৪০০’র বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা গিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে একাধিক মসজিদও। হ্যাগারির দাবি, হামাসের প্রধান দপ্তরেও আঘাত করা হয়েছে। হামাসের অন্তত তিন ডেপুটি কমান্ডার পদমর্যাদার সদস্য নিহত হয়েছেন।
প্যালেস্তাইনের সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াফা’ জানিয়েছে যে খান ইউনুসেও পরপর বোমা ফেলেছে ইজরায়েল। বহু মানুষ আহত। তার ওপরে ত্রাণ মিলছে সামান্যই। গাজার যে যে হাসপাতাল এখনও চালু রয়েছে, আর ৪৮ ঘন্টা বাদে সেগুলিও বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ জ্বালানি নেই।
সংবাদ প্রতিষ্ঠান ‘আল জাজিরা’ জানাচ্ছে যে ইজরায়েলের কারাগারে নিহত হয়েছেন হামাসের অন্যতম নেতা ওমর দারাঘমেহ। ইজরায়েলের দখলে থাকা ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল ইজরায়েলের সেনা আইডিএফ।
ইজরায়েলের দখলদারির কারণেই দশকের পর দশক প্যালেস্তাইনের মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছেন। একাংশ চলে গিয়েছেন অন্য দেশে। আরেক অংশ দেশেরই বিভিন্ন উদ্বাস্তু শিবিরে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন। এখন সেই উদ্বাস্তু শিবির ঘিরেই আক্রমণ চালাচ্ছে ইজরায়েল।
ইজরায়েলের সেনা ফের প্যালেস্তানীয়দের ঘর ছেড়ে, এমনকি উদ্বাস্তু শিবির ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। গাজার দক্ষিণ অংশ, যে অঞ্চলকে ‘নিরাপদ স্থান’ ঘোষণা করেছিল ইজরায়েল, এমনকি সেখানেও ফেলা হচ্ছে বোমা।
Comments :0