ফের শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া এলাকায়। বিশ্বকর্মা পুজোর রাতে ট্রাক টার্মিনাস চত্বর এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে তিন বছরের এক শিশুকে। ঘটনায় গোটা এলাকা জুড়ে স্থানীয় মানুষ ও গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ, শারিরীক নির্যাতনের পর ওই তিন বছর বয়সের শিশুকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতী। পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর ধরে এক মাঝ বয়সী মহিলা তার তিন বছরের শিশু কন্যা ও ১২ বছর বয়সের ছেলেকে সাথে নিয়ে ওই এলাকায় বসবাস করছিলেন। দিনে এলাকার বিভিন্ন হোটেলে পরিচারিকার কাজ করতেন ওই মহিলা। রাতের বেলায় যাত্রী সেল্টারে এসে ছেলে মেয়েকে সাথে নিয়ে রাত কাটাতেন। সোমবার বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে ট্রাক টার্মিনাসের সকলেই আনন্দে মেতে ছিলেন। অনেক রাত পর্যন্ত গাড়ির আনাগোনা ছিলো। দোকানপাটও খোলা ছিলো। মেঝেতে দাদার সাথে ঘুমিয়েছিলো শিশুটি। আচমকাই সেখান থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুটিকে কে বা কারা তুলে নিয়ে যায়। রাতের দিকে মেয়েকে না দেখে খোঁজাখুজি শুরু করে দেয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী সহ স্থানীয় মানুষও শিশুটির খোঁজ শুরু করে দেন। অনেক পরে একটি গ্যাসের ট্যাঙ্কারের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের সন্দেহ হয় শিশুটিকে নির্যাতনের পর ফেলে রাখা হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘোষপুকুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষ। দ্রুত ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব তাঁরা।
ইতোমধ্যেই এক ট্যাঙ্কার চালককে গ্রেপ্তার করেছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সুবল মন্ডল (৪২)। বর্ধমানের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রজু করা হয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে গোটা ট্রাক টার্মিনাস এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। নতুন করে কোন গাড়িকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। যে সমস্ত গাড়ি টার্মিনাসে দাঁড়িয়েছিলো সেই গাড়িগুলিকেও বের হতে দেওয়া হয়নি।
Comments :0