ভাঙড়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন দিতে দেবে না তৃণমূল। এমন আশঙ্কা ছিলই। মনোনয়নের প্রথম দিন থেকে বাঁধা দিচ্ছিল শাসক দলের গুন্ডা বাহিনী। বাইরে থেকে দলীয় দপ্তরে দুষ্কৃতী জড়ো করছিল তারা। মনোনয়নের প্রথমদিন আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন নেওয়ায় মারধর করা হয় সরকারি কর্মীদের। অভিযোগের তীর শাসক দলের বিরুদ্ধেই।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী জানিয়েছিলেন আজ তারা মনোনয়ন দেবেন। তিনি জানিয়েছিলেন ভাঙড় ১ ব্লকে অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রার জন্য ২ নম্বর ব্লকে তারা মনোনয়ন দেবেন।
ঘোষণার মতন সকাল থেকে ব্লক অফিসের মনোনয়ন দিতে আসছিলেন আইএসএফ প্রার্থীরা সিপিআই(এম) প্রার্থীরাও ছিলেন তাদের সঙ্গে। বিরোধীরা যাতে কোনভাবে মনোনয়ন দাখিল করতে না পারে তার জন্য সকাল থেকে তৃণমূল বোমা বাজি করতে থাকে। সাত রাউন্ড গুলি চলে। বিডিও দপ্তরের কাছে বিজয়গঞ্জ বাজারে মেলার মাঠে দুষ্কৃতী জমায়েত করে বোমা ছোড়া হয় বিরোধীদের ওপর। আইএসএফ কর্মীরা পাল্টা প্রতিরোধ করেন।
মঙ্গলবার সকালেই ঘটনা যখন ঘটছে তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে পুলিশ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে।
যেই তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডাবাহিনী আইএসএফ এবং সিপিআই(এম) কর্মীদের লক্ষ্য করে আক্রমণ করছিল তাদের গ্রেপ্তার না করে আইএসএফ প্রার্থীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আইএসএফ কর্মীরা অভিযোগ করেন যে আরাবুল ইসলাম এবং তার ছেলে গাড়ি ভর্তি বোমা নিয়ে এসে তাদের উপর আক্রমণ করে। আরাবুলের ছেলে হাকিমুলের গাড়ির ড্যাশবোর্ডে বোমা পাওয়াও যায়। গোটা ঘটনায় তৃণমূল চুপ। আরাবুলকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আরাবল একটি সংবাদ মাধ্যমের এক কর্মীর হাত থেকে মাইক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
উত্তেজিত জনতা আরাবুলের তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
এদিন জেলা পরিষদে সিপিআই (এম) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা করেছেন মানসী ঘোষ।
Comments :0