ভাঙড়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ভাঙড়েরই বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীকে। আইএসএফ’র বিধায়ককে আটকে রেখেছে পুলিশ। ১৪৪ ধারা দেখিয়ে আটকে রাখা হচ্ছে বিধায়ককে।
রাজারহাট- নিউ টাউনে, ভাঙড়ে ঢোকার রাস্তায়, গাড়িতেই বসে রয়েছে নওসাদ। ভাঙড়ে নিহত আইএসএফ কর্মীদের বাড়ি যাওয়ার কথা তাঁর। নিখোঁজ প্রার্থী জাহানারা বিবির বাড়িতেও যাবেন বলে জানিয়েছেন সিদ্দিকী।
শুক্রবার সকাল দশটার কিছু পরে ভাঙড়ের পথে যাওয়ার সময় সিদ্দিকীর পথ আটকায় পুলিশ। তিনি নির্দেশের কপি চেয়ে পাঠান। প্রায় এক ঘন্টা পরে নির্দেশের কপি দেয় পুলিশ। তাঁকে গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যেতে বলে। কিন্তু চলে যেতে অস্বীকার করেছেন সিদ্দিকী। গাড়িতেই ঠায় বসে রয়েছেন।
তাঁর বক্তব্য, ভাঙড়ে তৃণমূলের পুরো দুষ্কৃতীবাহিনী ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের কিছু বলা হচ্ছে না। আটকানো হয়েছে তাঁকে। তিনি শান্তির বার্তা নিয়েই ভাঙড়ে যেতে চান।
গণনার রাতে ভাঙড়ে গুলি চলে। নিহত হয়েছেন আইএসএফ’র তিন কর্মী। নওসাদ জানিয়েছেন, গণনায় আইএসএফ প্রার্থীরা জয়ী হন। রাত সাড়ে আটটায় গণনা শেষ হয়। রাত বারেটাতেও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি তাঁদের। নিয়ম ভেঙে গণনা কেন্দ্রে ঢোকেন তৃণমূলে আরাবুল ইসলাম। এরপরই গোলমাল শুরু হয়। জয়ী প্রার্থীদের বের করে দেওয়া হয়। চলতে শুরু করে গুলি। ওই গুলিতেই আহত হয়েছেন পুলিশ আধিকারিকও। এর মধ্যে আইএসএফ প্রার্থীদের পরাজিত ঘোষণা করা হয়।
ভাঙড়ের বাসিন্দাদের অভিযোগ, গুলি ছুঁড়েছে তৃণমূল। পুলিশের পোশাক পরে তৃণমূলের আরাবুল এবং সওকত মোল্লার বাহিনী গুলি চালিয়েছে।
শুক্রবার পুলিশ সিদ্দিকীকে বলে যে কারা ঢুকতে পারবে তার তালিকা রয়েছে নির্দেশিকায়। সেই নামের বাইরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সিদ্দিকী জানিয়েছেন, তাঁকে দেওয়া নির্দেশিকায় কোনও নামের তালিকা নেই।
বৃহস্পতিবার ধর্মতলা থেকে এন্টালি বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং আইএসএফ। সভায় সিদ্দিকী জানিয়েছেন ভাঙড়ে গণনা এবং তারপর গুলিকাণ্ডের বৃত্তান্ত।
Comments :0