SIR Supreme Court

এসআইআর: আবেদন জানানো যাবে অনলাইনে, কমিশনকে দিতে হবে রসিদ

জাতীয়

বিহারে ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ প্রক্রিয়ার খসড়ায় নাম বাদ পড়লে অনলাইনেও আবেদন জানানো যাবে। বুথ এজেন্টদের সহায়তা চাইলে না-ও নিতে পারেন আবেদনকারী। নাম তোলার জন্য যে ফর্ম কমিশন নিযুক্ত বুথ আধিকারিকদের হাতে জমা পড়েছে তার প্রাপ্তি স্বীকারের কাগজ দিতে হবে।
শুক্রবার বিহারের ভোটার তালিকা সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং সূর্য কান্তের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দলকেও। 
বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনী প্রক্রিয়া বা এসআইআর-র খসড়া তালিকা প্রকাশ হয় ১ আগস্ট। বাদ পড়লে আবেদনের সময়সীমা ১ সেপ্টেম্বর। খসড়া তালিকায় বাদ পড়েছে ৬৫ লক্ষ নাম। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি, ২৫ জুন, আচমকা এসআিআর-র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকেই বলেছে যে আসলে নাম বাদ দেওয়ার জন্যই নেওয়া হয়েছে এই প্রক্রিয়া। একটি হিসেবে দেখা গিয়েছে মহিলা, দলিত এবং প্রান্তিক অংশের মানুষের নাম আনুপাতিক হারে বাদ পড়েছে বেশি।   
নির্দেশে বলা হয়েছে, বিহারে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিককে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রধানদের নোটিশ পাঠাতে হবে। আদালতে তাঁদের বক্তব্য জানানোর জন্য বলতে হবে সিইও-কে। ভোটার তালিকা সংশোধন সংক্রান্ত পরিস্থিতি কি, জানাতে হবে সে সম্পর্কে মতামত। 
বেঞ্চ এদিন নির্দেশে বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলির বুথ এজেন্টদের চেষ্টা চালাতে হবে। খসড়া তালিকায় যে ৬৫ লক্ষের নাম নেই, তাঁদের মধ্যে মৃত এবং স্বেচ্ছায় অন্যত্র চলে গিয়েছে, এমন নাম বাদে বাকি সবাইকে আবেদন জানাতে সহায়তা করতে হবে। ১ সেপ্টেম্বরের আগেই যাতে আবেদন জানানো যায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
বিহারে কমিশন বুথ আধিকারিকদের নিয়োগ করলেও এত অল্প সময়ের মধ্যে প্রায় ৭.২৪ কোটি ভোটারের কাছে পৌঁছানো সম্ভব ছিল না। ফর্ম জমা নিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারের রসিদ বা রিসিপ্ট দেওয়া হয়নি। সংবাদমাধ্যম এবং রাজনৈতিক দলগুলি জানাতে থাকে যে বিভিন্ন জায়গায় বুথ আধিকারিকরা নিজেরাই ফর্ম ভরেছেন। প্রক্রিয়ায় রদবদলও করতে থাকে কমিশন। ১১টি নথির কথা বললেও আপাতত নতি ছাড়া কাগজ জমা নেওয়ার নির্দেশ দেয় মাঝপথে। সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হলে আধার কার্ডকেও নথি হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় যে তিন নথি, সেই আধার বা রেশন এমনকি ভোটার কার্ডও, আবেদন বিবেচনার পক্ষে যোগ্য নথি হিসেবে বিবেচনা করেনি নির্বাচন কমিশন। 
এদিন এসআইআর-র বিরুদ্ধে আবেদনকারীদের সওয়ালে আইনজীবীরা বলেন, আধার গ্রহণের নির্দেশ আদালত দেওয়ার আগে অনেকের ফর্ম জমা নেওয়া হয়েছে। তাদের ক্ষেত্রেও আধার জমার সুযোগ রাখা উচিত। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী কমিশনকে প্রয়োজনীয় সময়ের দিকটি বিবেচনার জন্য বলেছেন। 
মামলার পরবর্তী শুনানি ৮ সেপ্টেম্বর।

Comments :0

Login to leave a comment