কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সিদ্দারামাইয়া। উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। সোমবার থেকে দিল্লিতে দফায় দফায় বৈঠক করেছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। বুধবার গভীর রাতে দলের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার পরিষদীয় দলের বৈঠক বসার কথা রয়েছে। ২০ মে নতুন সরকার শপথ নিতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিন দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল দলের পক্ষ থেকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে আগে দুই নেতা কেসি বেণুগোপাল এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের সাতে দেখা করেন বলে জানা যাচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমকে সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, ‘‘আমরা সব সময় ঐক্যবদ্ধ থাকবো। ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করবো। কংগ্রেস একটি পরিবারের মতো কাজ করবে।’’ টুইটারে শিবকুমার লিখেছেন, ‘‘কর্ণাটকবাসীর উন্নয়ন আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য এবং এই কাজে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে যাবো।’’
সূত্রের খবর প্রথম থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জেদ ধরে থাকলেও সনিয়া গান্ধীর কথায় সেই জেদ ছাড়তে বাধ্য হয় শিবকুমার। এর আগে দলের শীর্ষ নেতৃত্বর পক্ষ থেকে সিদ্দারামাইয়াকে দুবছর জন্য এবং শিবকুমারকে তিন বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী থাকার প্রস্তাব দেওয়া হলে দুজনেই তাতে আপত্তি জানায়।
২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন সিদ্দারামাইয়া। ২০১৮ সালে কংগ্রেস জেডিএস জোট সরকার করলেও বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার ফেলে দেয় বিজেপি। কিন্তু এবার একক শক্তিতে সরকার গঠন করছে কংগ্রেস।
উল্লেখ্য শনিবার কর্ণাটকের ফলাফল পর থেকে কংগ্রেসর পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নাম না ঘোষনা করায় বিজেপির পক্ষ থেকে একাধিক সংবাদমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হতে থাকে। রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের একাধিক উদাহরন টেনে কংগ্রেসকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করতে যে দীর্ঘ সময় নেওয়া হয়েছে তার কোন উল্লেখ করা হয়নি সংবাদমাধ্যম গুলির পক্ষ থেকে।
শনিবার ফল ঘোষনার পর রবিবার সংসদীয় দলের বৈঠকে গোপন ব্যালটে নিজেদের মতামত জানান জয়ী সদস্যরা। সেই ভোটের ফলাফল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর তার ফলাফল রয়েছে হাইকমান্ডের কাছে। সোমবার সিদ্দারামাইয়া দিল্লি যাওয়া এবং পরে শিবকুমারের দিল্লি যাওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। তবে শিবকুমার জানিয়ে ছিলেন যে, দল তাকে যেই দায়িত্ন দেবে তিনি তা পালন করবেন। এবারের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেছেন শিবকুমার। অনেকে মনে করেছিলেন ৭৫ বছর বয়সী সিদ্দারামাইয়ার বদলে ৬১ বছর বয়সী শিবকুমার হয়তো এবার মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। ফল ঘোষনার পর সংবাদমাধ্যমে দেওবা সাক্ষাৎকারে শিবকুমার জানিয়েছিলেন যে তিনি সনিয়া গান্ধীকে কথা দিয়েছিলেন যে কর্ণাটকে দলকে জেতাবেন, সেই কথা রাখতে পেরে তিনি আপ্লুত।
Comments :0