SATTOR CPI(M)

হামলা করেছিলেন মিছিলে, চোখরাঙানি উড়িয়ে
সাত্তোরের সেই তৃণমূলকর্মীরা টাঙালেন লাল পতাকা

জেলা

SATTOR CPIM তৃণমূলের চোখরাঙানির পালটা প্রতিবাদ। শনিবার সাত্তোরে। ছবি: রণদীপ মিত্র

দিন কয়েক আগে বীরভূমের পাড়ুইয়ের সাত্তোরে যে তৃণমূলের এই কর্মীরাই মারমুখী ছিলেন। সিপিআই(এম)'র ডেপুটেশনে বাধা দিয়েছিলেন। শনিবার তাঁদেরই একটি বড় অংশ হাতে ধরলেন লালঝান্ডা। দলের ওপর উগড়ে দিয়েছেন ক্ষোভ। আর তাতেই তৃণমূলের একাংশ নেমে পড়েছে চোখরাঙাতে। 

তৃণমূলের মাতব্বরীতে দলেরই সঙ্গে কিছুদিন আগে থাকা এই কর্মীরা প্রতিবাদ করেছেন। তা নিয়েই চলল বিবাদ। তবে  সব উপেক্ষা করেই তৃণমূলের একচ্ছত্র দাপটের এলাকা সাত্তোর ছেয়েছে লাল পতাকায়। তবে শনিবার কিছু সময়ের জন্য উত্তেজনা ব্যাপক আকার নিয়েছিল। সেই সময় তৃণমূলীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন সাংবাদিক অমরনাথ দত্ত। তাঁর হাতে আঘাত করা হয়েছে বাঁশ দিয়ে। তাঁর চিকিৎসা করা হয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। 

ডেপুটেশনের দিন সাত্তোরের তৃণমূল নেতা সেখ মোস্তাফার নেতৃত্বে হামলা হয়েছিল সিপিআই(এম)'র উপর। কিন্তু তৃণমূলের বহু কর্মী ভেতরে ভেতরে ফুঁসছিলেন তৃণমূলের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে। এদিন সেই তৃণমূল কর্মীরা সেখ মোস্তাফাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তৃণমূল ছেড়ে লাল পতাকা হাতে তুলে নেন সাত্তোর বাসস্ট্যান্ডে। সেই সময় তৃণমূলের স্থানীয় নেতা মোস্তফা শেখের নেতৃত্বে তৃণমূলীরা চড়াও হয়৷ সিপিআই(এম) নেতা-কর্মীদের সঙ্গে রীতিমতো বচসা শুরু হয় তৃণমূল বাহিনীর। 

তীব্র বাদানুবাদহুমকি সত্ত্বেও নাছোড় সিপিআই(এম) কর্মীরা পতাকা টাঙান। তৃণমূল ছেড়ে আসা গ্রামবাসীদের সক্রিয় সমর্থকের স্বীকৃতি দেন। খবর পেয়ে পাড়ুই থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স আসে ঘটনাস্থলে। এলাকায় চাপা উত্তেজনা থাকে। 

এ ব্যাপারে সিপিআই(এম) নেতা বকুল ঘোরুই জানিয়েছেন‘‘এলাকার মানুষ তৃণমূলের উপর খুবই রুষ্ট। তাঁরা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। এদিন তৃণমূলীদের সমস্ত হুমকি উপেক্ষা করে সাহস নিয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে শেষতক লড়াই করবেন।’’'

Comments :0

Login to leave a comment