এত গরমে থাকার অভ্যাস নেই ওদের জঙ্গলে খাবার নেই খাবারের খোঁজে গত প্রায় একমাস ওরা ঘুরে বেড়াচ্ছে শহরের এপাড়া ওপাড়ায়।
জৈষ্ঠ্যের দাবদহে ক্লান্তির হাত থেকে বাঁচতে একটু ঠান্ডা জলে স্নান হবে না তা কি কখনও হয়। আর এই স্নানে যে শুধু আমরা মানুষরাই স্বস্তি পেয়ে থাকি তা নয়। জীব মাত্রই শরীরে তাপমাত্রার পারদ তর তর করে কখনও বাড়ছে আবার কখনও কমছে।
কয়েকদিন ধরে যেভাবে গরমের দাপট বেড়েছে গোটা রাজ্যের সাথে জলপাইগুড়ি সহ উত্তরের জেলাগুলিতেও। তাতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পশুপাখি সকলেরই প্রান ওষ্টাগত। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তাপমাত্রার পারদ বাড়ছে তড়তড়িয়ে। গরমের হাত থেকে বাঁচতে জলপাইগুড়ির তিস্তা উদ্যানে স্নান করতে দেখা গেল এক দল বাঁদরকে।
এদিন তিস্তা উদ্যানের ফোয়ারায় জমে থাকা জলে স্নান করছে বাঁদরের দল এমন দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন এলাকার মানুষজন। তাঁরা এক জায়গা থেকে আর এক জায়গা ছোটাছুটি করছে। বাঁদরের এই বাঁদরামির দৃশ্য দেখতে সকালে পার্কে ও আশেপাশে তিস্তা পাড়ের এলাকায় আসা ভ্রমনকারীরা ভিড় জমান পার্কে। খুশি ছোট ছোট শিশুরাও।
আবার এই দৃশ্যকে ফ্রেমবন্দি করতে দেখা গেল অনেককেই। পার্কে আসা রাজীব চৌধুরী বলেন, ‘‘জলপাইগুড়ি শহরে অনেকদিন ধরে প্রচুর বাঁদর দল ঘুরে বেড়াতে দেখছি। কিন্তু তিস্তা উদ্যানে দেখছি বাঁদর ঘুরে বেড়াচ্ছে অনায়াসে। আর কিছু বাঁদরকে দেখছি গরমের হাত থেকে বাঁচতে জলে স্নান করছে। এই দৃশ্য দেখে খুবই ভাল লাগছে।’’
Comments :0