অভাবের তাড়না ছিল তীব্র। একশো দিনের জবকার্ড হোল্ডার মজুরি পাননি। সেই খেতমজুর দম্পতির দেহ মিলল নিজেদের ঘরে। প্রতিবেশীরা বলছেন, অভাবের জন্যই আত্মঘাতী হতে হয়েছে এই দম্পতিকে। রয়েছে তাঁদের দুই নাবালক সন্তান।
স্বামী সন্তু দুলে ও স্ত্রী রীতা দুলের ৪৪ দিনের মজুরি বাকি। অঞ্চল অফিসে হন্যে হয়ে ঘুরে ঘুরেও মজুরি পাননি। সতেরো মাস আগের কাজের বকেয়া মজুরি যদি পেতেন তাহলে হয়তো অভাবের তাড়নায় এমন মর্মান্তিক মৃত্যু হতো না।
এদিকে রাজ্য জুড়ে সরকারি কোষাগারের টাকায় সাজসজ্জায় বিলাসবহুল মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর নব জোয়ার যাত্রার নামে সার্কাস চলছে। অপর দিকে একশ দিনের কাজের বকেয়া মজুরি না পেয়ে এবং দীর্ঘ ১৬ মাস জবকার্ডে কোনো কাজ না পেয়ে অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যা করতে বাধ্য হলেন জবকার্ড হোল্ডার খেতমজুর দম্পতি।
প্রতিবেশী সরস্বতী দুলে বলেন যে দু’বেলা হাঁড়ি চড়ছিল না। কয়েক বার তিনি চাল দিয়েছেন। একশো দিনের কাজ ও খেতমজুরের কাজ করেই চলতো সংসার। গরিব মানুষকে কাজ করিয়ে আজ দেড় বছর মজুরি বাকি রেখে দিলো সরকার। ওদের দুটো নাবলক আজ অনাথ হয়ে গেল। কে দেখবে তাদের।
ঘটনাটি ঘটেছে গড়বেতা থানার চড়কাডাঙার দুলে পাড়াতে। শুক্রবার সাত সকালে শোওয়ার ঘরেই দম্পতির মৃত দেহ উদ্ধার হয়। এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর যায় গড়বেতা থানায়। পুলিশ এসে দম্পতির দেহ উদ্ধার করে। ঘরের মধ্যেই কীটনাশক বিষের শিশি উদ্ধার হয়।
Comments :0