শনিবার সকালে পাতা তোলার কাজ করছিলেন চা শ্রমিকরা। দুপরে বজ্রপাতে আহত ১২ জন মহিলা চা শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের চুয়াপাড়া চা বাগানে। এদিন কালচিনিতে বৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে বজ্রপাত। জানা গেছে, দুপুরে বৃষ্টির মধ্যেই কাজ করছিলেন চা শ্রমিকরা সেই সময় আচমকা বজ্রপাত হয় চা বাগানে। তাতেই আহত হন অন্তত ১২ জন চা শ্রমিক।
সঙ্গে সঙ্গে কর্মরত ও চা বাগানের অনান্য শ্রমিকরা আহতদের উদ্ধার করে চা বাগানের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ৯ জন শ্রমিককে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি ত জনের অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় কালচিনির লতাবাড়ি প্রাথমিক সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। দু’জনকে পরে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জানা গিয়েছে, আহতদের মধ্যে একজন গর্ভবতী শ্রমিক রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে তিনি এবং তাঁর সন্তান সুস্থ রয়েছে। রয়েছেন চিকিৎসকদের নজরদারিতে।
বজ্রাঘাতে মৃত গোপাল বর্মন। ছবি- অমিত কুমার দেব।
গত বৃহস্পতিবার মালদা ও মুর্শিদাবাদে বাজ পড়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। শুধু মালদায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১২জন। এদিন আলিপুরদুয়ারের চা বাগানে বাজ পড়ে আহত হলেন ১২জন মহিলা চা শ্রমিক। কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ ১নং ব্লকের বিলসি এলাকায় বাজ পরে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম গোপাল বর্মন(৪৫)। ঘটনায় শোকের আবহ তৈরি হয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা গেছে, এদিন দুপুরে পশ্চিম আকাশ কালো করে প্রবল ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়, সেই সঙ্গে বজ্রপাত। গোপাল বর্মন নামে এই ব্যক্তি বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে মাঠে গরু বেঁধে ছিলেন। আচমকা বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শুরু হওয়ায় জীবনের পরোয়া না করেই গরুগুলিকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে মাঠে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে প্রচন্ড শব্দে হয় বজ্রপাত। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। পরে বাড়ির লোকজন দেখতে পান মাঠের মধ্যে পড়ে রয়েছেন গোপাল। দ্রুত তাঁকে তুফানগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
Comments :0