৩ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা হামাস-ইজরায়েল সংঘাতে মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়েছে। হামাসের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে আল-জাজিরা জানাচ্ছে, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের ৯০৬১ জন প্যালেস্তিনীয় নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন বৃহস্পতিবার দুপুর অবধি। এরমধ্যে গাজা’র জাবালিয়া ত্রাণ শিবিরে ইজরায়েলের বিমান হামলার খবর মিলেছে। গাজা প্রশাসন জানাচ্ছে, এই হামলায় ১৯৫জন শরনার্থী প্রাণ হারিয়েছেন। নিঁখোজের সংখ্যা ১২০।
জাবালিয়া’র হামলার প্রেক্ষিতে চুপ থাকতে পারেনি রাষ্ট্রসংঘও। রাষ্ট্রসংঘ জানাচ্ছে, ‘‘জাবালিয়ার হামলা যুদ্ধপরাধের সামিল। এই হামলা অসম হারে শক্তি ব্যবহারের উদাহরণ।’’
গাজা প্রশাসন জানাচ্ছে, গাজায় ১ লক্ষ ৮০ হাজারের বেশি বাড়ি ইজরায়েলি বিমান হানায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। একটি হিসেব অনুযায়ী, গাজা শহরের ৪৫ শতাংশ বাড়ি ইজরায়েলি হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, বাড়িগুলির ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন। তাঁদের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সমস্ত দেহ উদ্ধার হলে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এদিকে গাজা’র একমাত্র ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে জ্বালানীর অভাবে। গাজা’র তুরষ্ক-প্যালেস্তাইন মৈত্রী হাসপাতাল অবরুদ্ধ ভূখণ্ডের একমাত্র ক্যান্সার চিকিৎসাকেন্দ্র ছিল। বিদ্যুতের অভাবে ডিজেল চালিত জেনারেটরের জোরে এতদিন কাজ চলছিল এই হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার থেকে সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যদিও তুরষ্ক জানাচ্ছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ক্যান্সার আক্রান্তদের তুরষ্কে নিয়ে এসে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হবে।
আল-জাজিরা জানাচ্ছে, উত্তর গাজা এবং গাজা শহরের বেশ কিছু অংশে হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইজরায়েলি সেনার মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। স্লাভিয়ানগ্রাড সহ একাধিক টেলিগ্রাম চ্যানেলে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও’তে দেখা গিয়েছে, ড্রোন এবং সুরঙ্গ ব্যবহার করে ইজরায়েলি জওয়ানদের এবং সাঁজোয়া গাড়িগুলিকে নিশানা করছে হামাস। ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, এখনও অবধি গাজা অভিযানে ১৮ জন সেনা জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইজরায়েলি সেনার ৫৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কমান্ডার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সালমান হাবাকা।
Comments :0