তারকেশ্বরের কেশবচক পঞ্চায়েতের নবনির্বাচিত বোর্ড গঠনের পর সিপিআই(এম) কর্মী এবং জনতার বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস চোখে পড়লো বুধবার। লাল আবিরে একে অপরকে রাঙিয়ে মানুষ আনন্দে মেতে ওঠেন।
বুধবার এই পঞ্চায়েতে শপথ নেন সিপিআই(এম)’র ৮ পঞ্চায়েত সদস্য। পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন সিপিআই(এম)’র পঞ্চায়েত সদস্য তপতী কুন্ডু। উপপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন সিপিআই(এম)’র পঞ্চায়েত সদস্য বিশ্বনাথ সাঁতরা। বোর্ড গঠনের পর পঞ্চায়েত দপ্তরের উলটোদিকের মাঠে সংক্ষিপ্ত সভা হয়। বক্তব্য রাখেন সিপিআই(এম) হুগলী জেলা সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য স্নেহাশিস রায়, জেলা কমিটির সদস্য ও কৃষকনেতা ভক্তরাম পান। নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান তপতী কুন্ডু, উপপ্রধান বিশ্বনাথ সাঁতরাও বক্তব্য রেখেছেন।
স্নেহাশিস রায় বলেন, ‘‘জনগণের পঞ্চায়েত মানে সবার পঞ্চায়েত। সবাই তাঁদের অধিকার আদায় করবেন। খুন সন্ত্রাসের রাজত্বের বিপক্ষে জনাদেশ দিয়ে কেশবচকের মানুষ জনগণের পঞ্চায়েতের পক্ষে রায় দিয়েছেন।’’
কৃষকনেতা ভক্তরাম পান বলেন, ‘‘মানুষের জন্য পঞ্চায়েত গঠন আমাদের মূল লক্ষ্য। বিরোধী যাঁরা আছেন তাঁদের মতামতকেও গুরুত্ব দিয়ে চলবে এই পঞ্চায়েত। রাজ্যে তৃণমূল যেভাবে দলতন্ত্র কায়েম করেছে, যেভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, তার বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে জনগণের পঞ্চায়েত গঠন আমাদের মূল লক্ষ্য। লড়াই এখনও শেষ হয়ে যায়নি। তৃণমূল আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাধা দেবেই। চুরির রাজত্ব কায়েম রাখতে চাইবে। সেই চোর জোচ্চরদের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রাম বজায় রাখতে হবে।’’
সভাপতিত্ব করেন সুরজিত ঘোষ।
Comments :0