সঞ্জিত দে, ধূপগুড়ি
সবংয়ে ক্ষুধার্ত কিশোরকে পিটিয়ে মারা হলো। এমনই নির্মমতা আমরা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে দেখেছি। উজ্জয়নী ধর্ষিতা বারো বছরের কিশোরী রক্তাক্ত অবস্থায় সাহায্যের জন্য দরজায় দরজায় ঘুরেছে। নির্মমতার সংস্কৃতি তৃণমূল এ রাজ্যে নিয়ে এসেছে।
শুক্রবার ধূপগুড়িতে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে এই মন্তব্য করেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেয়নি ইডি। বিচারপতির কড়া ধমক খেয়েছে কেন্দ্রের এই সংস্থা। সেলিম বলেন, সাংসদের নাকি কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই! বুঝে নিন তৃণমূল বিজেপির বোঝাপড়া কোন স্তরে আছে।’’
৩ অক্টোবর ইডি’র তলবে না জাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন অভিষেক। দিল্লিতে দলের কর্মসূচির উল্লেখ করেছেন। এই প্রসঙ্গে এক প্রশ্নে সেলিম বলেন, ‘‘ইডির ডাকে অভিষেক যাবে কিনা সেটা আদালত বুঝবে, ইডি বুঝবে। আমরা ৫ অক্টোবর সিজিও কম্পলেক্স অভিযানে যাচ্ছি। যে যে যুক্ত দুর্নীতিতে যুক্ত দরকারে তাদের জেলে নিয়ে জেরা করে সত্য উদঘাটন করতে হবে। সবার টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। ইডি এবং সিবিআই’কে তদন্তের নামে প্রহসন বন্ধ করতে হবে।’’
এদিন বিকালে ধূপগুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে ধূপগুড়ি বিধানসভা এলাকার সিপিআই(এম) কর্মীদের সভা হয়। সভায় সেলিম বলেন, ‘‘উপনির্বাচনে পরাজয়ের কারণগুলি আমরা খতিয়ে দেখেছি। আরও বেশি মানুষের সঙ্গে কথা বলে আরও কারণ জানতে হবে। তৃণমুল এবং বিজেপি’র মতো দুই শক্তি যে ভাবে বিপুল অর্থশক্তি, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি এবং চাকচিক্যময় প্রচার করে মানুষকে প্রভাবিত করেছে তার বিরুদ্ধে এই এলাকার মানুষ যে ভাবে করেছেন তা শিক্ষনীয়।’’
সেলিম বলেন, ‘‘তৃণমূল বালি পাথর খাদান চাকরি বিক্রি করে টাকা তুলছে। আর বিজেপি পাহাড় বন জঙ্গল নদী, রাষ্টীয় সম্পদ বিক্রি করছে। তৃণমূল সরকারি বাস বিক্রি করছে, বিজেপি বিমান বিক্রি করছে। তৃণমুল চুরি করলে বিজেপি তাড়ায় না, বিজেপি চুরি করলে তৃনমূল তাড়ায় না।’’
সেলিম বলেন, ‘‘মানুষের মধ্যে বিভাজন করে দেওয়াটাই দু’দলের আসল উদ্দেশ্য। তা ধর্ম নিয়ে হোক বা জাত ভাষা নিয়ে। বামপন্থীরা বিভাজন রুখে মেহনতির ঐক্য গড়ে। বেকারের হাতে কাজ, শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি, কৃষকের ফসলের দামের দাবিতে আন্দোলন করে।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের আরও বেশি মানুষের মনের ঘরে যেতে হবে। ধূপগুড়ি পৌরসভার নির্বাচন বকেয়া। সামনে লোকসভা নির্বাচন আছে। বামপন্থী কর্মীরা কোনো লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকবে না।’’
এদিনের সভায় ধূপগুড়ি বিধানসভা এলাকার সিপিআই(এম)’র এরিয়া কমিটির সম্পাদকরা তাঁদের অভিজ্ঞতা জানান। প্রার্থী ঈশ্বর চন্দ্র রায়ও তাঁর অভিজ্ঞতা বলেন। সভা পরিচালনা করেন তুষার বসু। পার্টির জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য , রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জিয়াউল আলম, রাজ্য কমিটির সদস্য সায়নদীপ মিত্রও উপস্থিত ছিলেন।
Comments :0