২০০২ এর ভোটার তালিকা নিজেদের সাইটে আপলোড করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে জেলা ভিত্তিক বিধানসভা ধরে ধরে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে কলকাতা জেলাকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে তখনকার লোকসভা আসন অনুযায়ী। দক্ষিণ কলকাতা, কলকাতা উত্তর পূর্ব এবং কলকাতা উত্তর পশ্চিম। কিন্তু সব জেলার তালিকা থাকলেও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ২০০২ এর তালিকা নেই সেখানে। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি বিধানসভার তালিকাও নেই। কেন নেই সেই নিয়ে কোন নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি কমিশনের পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাত বহু মানুষ বর্তমানে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে অন্যত্র রয়েছেন। বিহারে যেই এসআইআর করা হচ্ছে তাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য ২০০২ এর যেই তালিকা তার সাথে বর্তমানের ভোটার তালিকার অনেক পার্থক্য রয়েছে। যেমন এখন যাদবপুর বিধানসভার বর্তমান নম্বর ১৫০। ২০০২ এ ছিল ১০৮ যারদবপুর বিধানসভা। বদলে গিয়েছে পার্ট নম্বর। একাধিক পার্ট ভেঙে দুটি পার্ট তৈরি হয়েছে। যেমন ২০০২ সালের ওই বিধানসভার পার্ট ১৯ এবং ২০ ভেঙে হয়েছে ২৫, ২৮, ২৯, ৩০।
উল্লেখ্য ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় কোন ছবি ছিল না। বিভিন্ন তালিকা ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে একাধিক ভোটারের পাশে তাদের বাড়ির নাম লেখা নেই।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে তারা রাজ্যে এসআইআর শুরু করার জন্য তৈরি। কমিশনের প্রকাশিত ২০০২ এর ভোটার তালিকার ভিত্তিতে হবে এই এসআইআর। কমিশন সূত্রে খবর জুলাই ১৯৮৭ থেকে ডিসেম্বর ২০০৪ ওই সময়ের মধ্যে যাদের জন্ম তাদের প্রমান দিতে হবে তার সাথে বাবা মায়ের পরিচয় পত্রের প্রমাণও দিতে হবে। কমিশনের বক্তব্য তারা যেই তালিকা আপলোড করেছে সেই তালিকা সবাইকে নিজেদের কাছে রাখতে হবে। ২০০২ এর ভোটার তালিকায় যদি পরিবারের লোকের নাম থাকে তাহলে তাকে তা পেশ করতে হবে।
প্রশ্ন এখানেই পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের প্রান্তিক গ্রামে এখনও পর্যন্ত ইন্টারনেট সলযোগ নেই, স্মার্ট তো দুরের কথা। প্রান্তিক মানুষরা কি ভাবে এই তালিকা সাইট থেকে পাবেন? কমিশনের কাছে এর কোন উল্লেখ নেই।ট
Comments :0