গাজা’র স্বাস্থ্যমন্ত্রক এদিন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েলি বিমান হানায় এখনও অবধি প্রাণ হারিয়েছেন ৬৭৪৭-জন। নিহতদের মধ্যে ২৬৬৫-জন শিশুও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক একটি ২১০ পাতার নথি প্রকাশ করে। সেই নথিতে নিহতদের নাম, পরিচয়, ঠিকানা, লিঙ্গ পরিচয় সহ সমস্ত প্রামাণ্য তথ্য রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, এই তালিকা অসম্পূর্ণ রয়েছে। কারণ ৩০০টি মৃতদেহকে এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। বহু মানুষ এখনও নিঁখোজ রয়েছেন। এবং গাজা প্রশাসনকে না জানিয়ে বেশ কিছু মানুষকে কবর দিয়েছেন তাঁদের প্রিয়জনরা।
প্রসঙ্গত, বুধবার জো বাইডেন বলেন, ‘‘আমি প্যালেস্তিনীয়দের দেওয়া মৃতের সংখ্যাকে বিশ্বাস করিনা। এতে কারচুপি থাকতে পারে। মৃতের সংখ্যা নিয়ে প্যালেস্তিনীয়রা সত্যি কথা বলছেন, এমনটা বিশ্বাস করার কোনও কারণ আমি পাইনি।’’
যদিও ইজরায়েলি হামলায় শিশু এবং নিরীহ মানুষের নিহত হওয়ার তথ্য স্বীকার করে নিয়ে বাইডেন বলেন, ‘‘অবশ্যই নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। যুদ্ধ শুরু করলে আপনাকে এই মূল্য চোকাতেই হবে।’’
এর পালটা বৃহস্পতিবার প্রতিক্রিয়া মিলেছে গাজা’র প্রশাসনের তরফে। নিহতদের তালিকা প্রকাশ করে গাজা’র স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা জানিয়েছেন, ‘‘বাইডেন প্রশাসনের ন্যূনতম মানবিক মূল্যবোধ অবশিষ্ট নেই। তাঁরা নির্লজ্জের মত মৃতের সংখ্যা নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে চাইছেন।’’
আল-কুদরা আরও বলেছেন, ‘‘আমরা নিহতদের নাম সহ অন্যান্য তথ্য প্রকাশ করে গোটা বিশ্বের সামনে আমাদের মানুষের উপর ইজরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রমাণ তুলে ধরলাম। প্রতিটি নাম এবং সংখ্যার নেপথ্যে একজন রক্তমাংসের মানুষ ছিলেন, যিনি স্বপ্ন দেখতেন। আমরা প্যালেস্তিনীয়রা এতটাও ফেলনা নই, যাঁদের চাইলেই অবজ্ঞা করা যায়।’’
হিউম্যান রাইট্স ওয়াচের ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইন বিভাগের অধিকর্তা ওমর শাকির আল-জাজিরা’কে জানিয়েছেন, ‘‘ তিন দশকের বেশি সময় ধরে অধিকৃত প্যালেস্তাইনের প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। সেই সুবাদে বলতে পারি, সাধারণত মৃতের সংখ্যা নিয়ে প্যালেস্তিনীয় কর্তৃপক্ষ কারচুপি করেন না। হাসপাতাল এবং মর্গ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই নিহতের সংখ্যা জানায় প্যালেস্তিনীয়রা।’’
Comments :0