Elephant Cub Injured

গাড়ির ধাক্কায় জখম হাতির ছানা

জেলা

গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হাতির ছানা। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বেঙ্গল সাফারি পার্কে। গজলডোবা ক্যনাল রোড এলাকার ঘটনা। 
গজলডোবা ক্যনাল রোডে গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হলো একটি বুনো হাতি। বৃহস্পতিবার ভোরে মান্তাদারির গেটবাজার এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। কি গাড়ি ধাক্কা মেরেছে তা কারো নজরে পড়েনি। হাতিটিকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন খুব সকালে স্থানীয়দের নজরে পড়ে একটি বাচ্চা হাতি গুরুতর জখম অবস্থায় ক্যানেল রোডের উপর পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মান্তাদারি বিট অফিসের বনকর্মীরা। সেখান থেকে হাতিটিকে তুলে পিকআপ ভ্যানে করে বেঙ্গল সাফারিতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। 
ফুলবাড়ি - গজলডোবা ক্যানাল রোডের গেটবাজার থেকে গজলডোবা পর্যন্ত দুই দিকে রয়েছে গভীর জঙ্গল। দ্রুতগতির গাড়ির কারণে বন্যপ্রাণীরা দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে বলে অভিযোগ। এব্যাপারে বৈকন্ঠপুর ডিভিশনের ডিএফও এম রাজা জানান, সম্ভবত রাতের দিকে কোনো ভারি গাড়ি ওই হাতিটিকে ধাক্কা মেরেছে। হাতিটির চিকিৎসা চলছে বেঙ্গল সাফারিতে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে গাড়িটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
পরিবেশকর্মী ন্যাসের কর্নধার নফসার আলি এই বেদনাদায়ক ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এই ক্যানেল রোডের দুইপাশে ঘন জঙ্গল। হাতির পাল প্রায় জঙ্গল থেকে বেরিয়ে গা ধুতে আসে ক্যানেলের জলে। ক্যানেলের জলও পান করে। গরমকালে হাতির আনাগোনা বেশী হয়। দফায় দফায় আসে স্নান করতে। আর এই রাস্তা দিয়ে দ্রুত গতিতে চলাচল করে ভারী যানবাহন। রাত্রিবেলাতো এদের গতি বেড়ে যায়। বল্গাহীন গতি। এটা বনদপ্তর ও পরিবহন দপ্তর জানে। আশে পাশে বন্য প্রাণী যাতাযাত করে। জেনেও সতর্ক হয়না বনদপ্তর। গাড়ীগুলি নিয়ন্ত্রণ করার কোন উদ্যোগ নাই। রাত্রে বনদপ্তরের কোন টহলদারি নাই। উদাসীন দপ্তরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত প্রশাসনকে কড়া উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান তিনি। তিনি বলে উদ্যোগ না নিলে আরো বন্যপ্রানী নিধনের খবর শুনতে হবে।

Comments :0

Login to leave a comment