কারাদন্ডের পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে, আগামী ১০ বছর খান দম্পতি কোনও সাংবিধানিক পদের জন্য নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেনা। একইসঙ্গে তাঁদের দুইজনকে পৃথক ভাবে ২.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, ২৪ ঘন্টা আগে অপর এক আদালত রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে ইমরান খানকে দশ বছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছে।
২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে জেলে রয়েছেন ইমরান খান। রায় ঘোষণার পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তার স্ত্রী বুশরা বিবি।
৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। তার আগে ইমরান খানকে দীর্ঘমেয়াদী কারাদন্ডের মুখোমুখি হতে হল। পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহল জানাচ্ছে, ইমরান এবং তার দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ বা পিটিআই সেদেশের সামরিক বাহিনীর ক্ষমতায়নের কড়া সমালোচক। সামরিক বাহিনীর সঙ্গে টক্কর নেওয়ার ফলেই প্রধানমন্ত্রীত্ব হারাতে হয় ইমরানকে।
ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগে পিটিআই-এর থেকে নির্বাচনী প্রতীক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তারফলে সমস্ত পিটিআই প্রার্থী নির্দল হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
আদালতের রায়ের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পিটিআই’র অন্যতম শীর্ষ নেতা সৈয়দ জুলফিকার বুখারী জানিয়েছেন, ‘‘এটি পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থার অন্যতম কালো দিন। এই রায়ের কোন বৈধতা নেই। বিচারব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চক্রান্ত চলছে।’’
আল জাজিরার প্রতিবেদনের দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তরফে ভোটারদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে সাধারণ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার জন্য। পিটিআই'র সমর্থক এবং ভোটারদের উদ্দেশ্যে সেনাকর্তারা বলছেন, ভোট দিয়ে কোন লাভ নেই। আমরা ইমরানকে অদূর ভবিষ্যতেও ক্ষমতার ধারে কাছে ঘেঁষতে দেব না।
Comments :0