agricultural workers conference

সর্বভারতীয় খেতমজুর সম্মেলনের লোগো প্রকাশ দিল্লিতে

জাতীয় রাজ্য

agricultural workers left front west bengal agrarian distress দিল্লিতে লোগো প্রকাশ অনুষ্ঠানে খেতমজুর নেতৃবৃন্দ

১৫ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি হাওড়ার শরৎ সদনে সংগঠিত হতে চলেছে সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের দশম সর্বভারতীয় সম্মেলন। এদিন দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে সম্মেলনের লোগো প্রকাশ করলেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি এ বিজয়রাঘবন এবং সাধারণ সম্পাদক বি ভেঙ্কট। অনুষ্ঠানে ছিলেন সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক বিক্রম সিং এবং খেতমজুর আন্দোলনের সর্বভারতীয় নেতা এমভি গোবিন্দনও। 

বাংলার মাটিতে খেতমজুর সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্মেলন হতে চলেছে। স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে এরাজ্যের কৃষি পরিস্থিতি বাড়তি গুরুত্ব পাবে। সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের এ রাজ্যের সংগঠকদের দাবিগ্রামীণ কর্মসংস্থান এবং ন্যূনতম মজুরি সুনিশ্চিত করার দাবিকে পাখির চোখ করেই সম্মেলনে মিলিত হবেন পশ্চিমবঙ্গের খেতমজুররা। 

সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সাম্পাদক অমিয় পাত্র জানিয়েছেন, এবারের সম্মেলনের মূল দাবিগ্রামে কাজ এবং সঠিক মজুরি সুনিশ্চিত করা। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে কেরালায় খেতমজুরদের ন্যূনতম মজুরি দিনপ্রতি ৭০০টাকা। পশ্চিমবঙ্গে সেটা অর্ধেকেরও কম। ত্রিপুরায় সেই পরিমাণ আরও কমে হয়েছে ২৫০টাকা। একসময় এই তিন রাজ্যেই সরকার চালাতেন বামপন্থীরা। তখন বাংলাত্রিপুরা এবং কেরালা- তিন জায়গাতেই ন্যূনতম মজুরির হার প্রায় একই ছিল। কিন্তু বর্তমান ছবি থেকেই স্পষ্টসাধারণ খেতমজুরদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে তৃণমূল এবং বিজেপি।’’ 

ধারাবহিক ভাবে ১০০দিনের কাজে বরাদ্দ কমাচ্ছে কেন্দ্র। বাজেট বরাদ্দ কমছে খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পমিড ডে মিল প্রভৃতি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পেরও। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুফলও যোগ্য উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছচ্ছে না। এই সমস্তটার ফলে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তপশিলী জাতিআদিবাসী মানুষ। সর্বভারতীয় সম্মেলন থেকে এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শপথ নেবেন গ্রাম বাংলার খেতমজুররাএদিন দিল্লিতে জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। 

প্রতি বছর দুইবার রাজ্য সরকারের তরফে খেতমজুরদের সঙ্গে ন্যূনতম মজুরির চুক্তি করা হয়। বর্তমানে রাজ্যের খেতমজুরদের ন্যূনতম মজুরি ২৮৪টাকা প্রতিদিন। ন্যূনতম মজুরি সুনিশ্চিত করার জন্য প্রতি ব্লকে ইন্সপেক্টর রয়েছে। কিন্তু তারপরেও রাজ্যের একটিও ব্লকে ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছেন না খেতমজুররা। দশম সম্মেলনের লোগোটি শিল্পী মনীষ দেবের তৈরি।

খেতমজুর আন্দোলনের কর্মীদের দাবিরাজ্যের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি কৃষকরা ফসলের ন্যায্য দাম পাননা। বর্তমানে পশ্চিম বাংলায় কুইন্টাল পিছু ধানের সহায়ক মূল্য ১৯৮০ টাকা। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকারি মান্ডিগুলিতে কৃষকদের থেকে ধান কেনা হয় না। তাঁদের বাধ্য করা হয় ফড়েদের কাছে কুইন্টাল পিছু ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায় অভাবী বিক্রি করতে। কৃষকরা ফসলের সঠিক মূল্য না পাওয়ায় খেতমজুরদের মজুরি পেতেও সমস্যা হচ্ছে। গোটা গ্রামীণ অর্থনীতি ধসে পড়ছে এই ভাবে। 

 

 

 

Comments :0

Login to leave a comment