উৎপল মজুমদার
দিল্লিতে নিহত সাত শ্রমিকের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের ৪ জন। তাঁদের একজনের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। বাকি তিনজন মালদহের। দিল্লির শাস্ত্রী নগরের এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দু’জন।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন মালদহের বৈকণ্ঠপুর বাহারলের ফজলুর চৌধুরী (৪২), মানিকচকের মোহনা জাহেদুল হক (৪০), নাগরাই নরহাট্টার টুলু শেখ (৪০) এবং ইসলামপুরের ফাতিরুল শেখ।
বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনা আগুন লেগে হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। শুক্রবার সকালে দিল্লির এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ে। একটি ভাষ্য জানাচ্ছে যে মশার ধূপ থেকে আগুন লেগেছে বা বিষক্রিয়া মৃত্যুর কারণ।
শুক্রবার ঘটনার খবর এলাকায় পৌঁছাতেই মালদহের সিআইটিইউ নেতৃবৃন্দ মৃত এবং আহত শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছেছেন। দিল্লিতে সিআইটিইউ নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে দিল্লি পুলিশ। শনিবার দেহ পৌঁছানোর কথা এলাকায়। দিল্লির গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে মরদেহ রয়েছে।
একটি সূত্রে জানা গিয়েছে যে বাড়ির একতলা থেকে আগুন লাগে। গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণের কারণেও আগুন লেগে থাকতে পারে। নিহতদের মধ্যে অন্য রাজ্যের শ্রমিকরাও রয়েছেন। তাঁদের একজনের বাড়ি কাটিহারে। বাকি দু’জনের পরিচয় জানা যায়নি। আহত দুজন।
জেলায় ঘটনার বিশদ খবর পৌঁছাতেই সিআইটিইউ’র জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহা এবং জেলার পরিযায়ী শ্রমিক ইউনিয়নের জেলা সম্পাদক কামাল সেখ গেছেন মানিকচকের মোহনায় মৃত জাহিদুল সেখের বাড়িতে।
সিপিআই(এম) নেতা জহুর আলম গেছেন বাহারালে মৃত ফজলুর চৌধুরীর বাড়িতে। আহত দু’জনের বাড়ি মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের শোভানগর অঞ্চলের চন্ডীপুরের বাসিন্দা।
দিল্লি সিআইটিইউ সূত্র জানাচ্ছে, মশার ধূপ থেকে বিষক্রিয়াই শ্রমিকদের মৃত্যুর কারণ। প্রাথমিকভাবে তাই মনে করছে প্রশাসন। দিল্লির সিআইটিইউ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে যান। তাঁরাও নিহত শ্রমিকদের পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। পশ্চিমবঙ্গে দেহ ফেরানোর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছেন।
Comments :0