তুষার ধসে সিকিমে মৃত ৬ পর্যটক, তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ একজন মহিলা ও ওকটি শিশু রয়েছে। এখনও বহু পর্যটক বরফের নিচে আটকে রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। নাথুলা পাসের কাছে পাহার থেকে নেমে আসে তুষার তাতেই চাপা পড়ে যায় পর্যটকরা। সেনার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে মঙ্গলবার প্রায় ১২.১৫ নাগাদ তুষার ধস নেমে আসে নাথুলা পাসের কাছে পাহার থেকে।
গ্যাংটকের পুলিশ সুপার তেনজিং লোডেন লেপচা জানিয়েছেন যে জায়গায় তুষার ধস নেমে আসে সেখানে পর্যটকদের যাওয়ার অনুমতি নেই। নাথুলা পাসের ১৩ মাইল পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি থাকলেও পর্যটকরা ১৫ মাইল পর্যন্ত গিয়েছিল। তেনজিং লোডেন লেপচা আরও জানান ঘটনার সময় সেখানে প্রায় ৪-৫টি পর্যটকের গাড়ি যাচ্ছিল। ধসের নামর ফলে একটি বাস খাদে পড়ে যায়।
তুষার ধসের ঘটনাটি জহরলাল নেহেরু রোড থেকে ১৫ মাইল দুরে ঘটে। ভারত ও চীন সীমান্ত অবস্থিত নাথুলা পাস সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৪,১৪০ ফুট ওপরে অবস্থিত। ফলে এই অঞ্চল তুষারাবৃতই থাকে। নাথুলা পাসের কাছেই রয়েছে ছাঙ্গু লেক, যা পরয্টকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের জায়গা। সেখান থেকেই আরও কয়েক মাইল এগিয়ে যায় পর্যটকদের গাড়ি। দুর্ঘটনার পরে পর্যটকদের উদ্ধার কারতে হাত লাগায় সেনা সহ স্থায়ীনরা। এদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত ২৪ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তারমধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গ্যংটকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে। এছাড়াও ধস নামার ফলে অন্যান্য পর্যটকদের গাড়ি আটকে ছিল সেগুলিও ছাড়ার ব্যবস্থা করছে সেনারা।
Comments :0