২০০২ গুজরাট গণহত্যার ঘটনায় নারোদা গাম মামলায় নিশর্ত মুক্তি পেল বিজেপি নেত্রী ও প্রাক্তন মন্ত্রী মায়া কোদনানি ও বজরঙ দলের নেতা বাবু বজরঙ্গি। শুধু বিজেপি নেত্রীই নয় এই মামলায় অভিযুক্ত ৬৮ জনকেই মুক্তি দিয়েছে আমেদাবাদের বিশেষ আদালত এমনটা জানিয়েছে এই মামলারই আইনজীবী এসকে বক্সি। ২০০২ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেসময় তার মন্ত্রী সভায় ছিলেন মায়া কোদনানি। গুজরাট গণহত্যার ঘটনায় অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা নারোদা গামের ঘটনাটি।
২০০২’তে গোধরাতে সবরমতি এক্সপ্রেসের একটি কোচে আগুন লেগে যায়। ঘটনাচক্রে ওই কোচে যারা ছিলেন তাদের প্রত্যেকেরই মৃত্যু হয়। তারপর গুজরাট জুড়ে তীব্র আকার নেয় সাম্প্রদায়িক হিংসা। মৃত্যু হয় বহু মানুষের। যাদের মধ্যে অধিকাংশই মুসলিম।আহমেদাবাদের নারোদাগাম পাটিয়াতেও সাম্প্দায়িক আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। তাতে ১১ জনের মৃত্যু হয় তারা প্রত্যেকেই মুসলিম। এমনকি হত্যার পরে তাদের বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ৯৭ জনকে দোষি সাব্যস্ত করেছিল ও তাদের ২৮ বছরের কারাদন্ড দিয়েছিল আদালত। দোষিদের মধ্য ছিল মায়া কোদনানি ও বাবু বজরঙ্গির নাম। ওই মামলায় পরে গুজরাট হাইকোর্ট মায়া কোদনানিকে জামিনে মুক্তি দেয়। বৃহষ্পতিবার অভিযুক্তদের সকলকেই মুক্তি দিল বিশেষ আদালত।
গুজরাট গণহত্যার অন্যতম শিকার বিলকিস বানো। ১৯ বছররে বিলকিসকে প্রায় ১১ জন মিলে ধর্ষণ করে, তার পরিবারের সকলকে তার চোখের সামনে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে ছিল বিলকিসের ৩ বছরের শিশু কন্যাও। ২০২২’এর ১৪ আগষ্ট বিলকিসের ধর্ষণকারীদের বিশেষ আইনে মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার। গুজরাট গণ হত্যা মামলায় অপরাধ করেও একে একে প্রত্যেকেই মুক্তি পাচ্ছে।
Comments :0