জন্ম এবং মৃত্যু নথিভুক্তি আইন সংশোধন করতে সংসদে বিল পেশ করতে পারে সরকার। জন্ম এবং মৃত্যুর তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় জনপঞ্জি বা এনপিআর সংশোধন করার প্রস্তাবও রয়েছে খসড়া বিলে। গত বছরের অক্টোবরে এই খসড়া বিল পেশ করেছিল কেন্দ্র। বিভিন্ন স্তর থেকে আপত্তি ওঠায় সংসদে বিল পেশ হয়নি এতদিন।
৭ ডিসেম্বর থেকে সংসদে শুরু হচ্ছে শীতকালীন অধিবেশন। ৬ ডিসেম্বর সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র। ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত অধিবেশন চলার কথা। এই অধিবেশনে পেশ হতে পারে জন্ম ও মৃত্যু নথিভুক্তি আইনের সংশোধনী বিল। কেবল এই একটিই আইন সংশোধনের প্রস্তাব রাখা হয়নি বিলে। অন্য একাধিক আইনে সংশোধনী কার্যকর হবে। নাগরিকত্ব আইনে সংশোধনী এনে এনপিআর সংশোধন, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধন করে ভোটার তালিকায় সংশোধন, আধার আইনে সংশোধন করে আধার কার্ড বাতিল করারও প্রস্তাব রয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে সংশোধন করে রেশন কার্ড সংক্রান্ত তথ্য সংশোধনের প্রস্তাব রয়েছে খসড়ায়।
খসড়া বিলে ৩-ক ধারা যুক্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, জন্ম ও মৃত্যুর সংশোধিত তথ্য ব্যবহার করে রেজিস্ট্রার জেনারেল কেন্দ্রের অনুমতি নিয়ে জাতীয় জনপঞ্জি বা এনপিআর সংশোধন করতে পারবেন।
জন্ম এবং মৃত্যুর নথিভুক্তি দেশে এখনই বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে তথ্য গোপন করলে চালু আইনে জরিমানা ৫০ টাকা। জরিমানার অঙ্ক বাড়িয়ে ১ হাজার টাকা করার প্রস্তাব রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কেবল এই উদ্দেশ্যেই বিল পেশ হচ্ছে না। ঘুরপথে দেশে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরির কাজে হাত দেওয়ার রাজনৈতিক ইঙ্গিত রাখছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এনপিআর’এ সংশোধন হলে সেই তথ্য ব্যবহার করা হতে পারে নাগরিকের তালিকা তৈরিতে। এর আগে নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী পাশ করলেও তা চালু করতে পারেনি কেন্দ্র।
জানা গিয়েছে জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য রাজ্যভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় স্তর থেকে নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নথির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে নথি সংশোধন করতে হবে রাজ্যগুলিকে।
স্কুলে ভর্তির পাশাপাশি সরকারি চাকরিতেও জন্মের শংসাপত্র বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব রয়েছে বিলে।
মন্তব্যসমূহ :0