ছিলেন চা বাগানের শ্রমিক। জলপাইগুড়ির বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন প্রায় চোদ্দ বছর আগে। তারপর থেকে বাবাকে খুঁজছেন সন্তানরা, স্ত্রী। হ্যাম রেডিও কর্মীদের তৎপরতায় বারুইপুরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে পরিবারের। নববর্ষের দিনেই মিলছে পরিবার।
ডায়মন্ডহারবার হাসপাতালের ডেপুটি সুপার সুপ্রিম সাহা জানতে পারেন এক ব্যক্তির কথা। বারুইপুরের টংতলার কাছে তাঁর পরিচিতরা এক ভবঘুরেকে দেখতে পেয়েছেন। ২৮ ডিসেম্বর রাতে খবর পান হ্যাম রেডিও কর্মীরা। তারপরই শুরু হয় যোগাযোগ।
হ্যাম রেডিও, ওয়েস্ট বেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সম্পাদক অম্বরিশ নাগ-বিশ্বাস জানিয়েছেন টংতলার স্থানীয় একটি দোকানে দেখা মিলছিল এক ব্যক্তির। ওই দোকান ব্যবসায়ী জানান যে বেশ কিছুদিন ধরে ওই ব্যক্তিকে ওখানেই ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। খোঁজ শুরু হয়।
হ্যাম রেডিও নেটওয়ার্কে জানা যায় তাঁর বাড়ি বানারহাট চা বাগানে, জলপাইগুড়ি জেলায়। ওই ব্যক্তি ওই চা বাগানের শ্রমিক ছিলেন। পরিবারে দুই মেয়ে ও দুই ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছেলের জন্মের পর থেকে বাবা নিখোঁজ। ছেলেটি ক্লাস সিক্স অব্দি পড়াশোনা করেছে। অর্থের অভাবে আর পড়তে পারেনি। ব্যক্তির স্ত্রী জনকিশীনের খোঁজ মিলতেই অন্যান্য ব্যবস্থা শুরু করেন হ্যাম রেডিও কর্মীরা। নাগ বিশ্বাস বলছেন, ‘‘ভদ্রলোকের থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে যোগাযোগ করি বারুইপুর মহিলা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি’র সঙ্গে। তিনি রাতেই ব্যবস্থা করেন বারুইপুর হাসপাতালে থাকার। চিকিৎসার পাশাপাশি নিরাপত্তাও জোরদার হয়।
স্থানীয় পঞ্চায়েতের সাথে যোগাযোগ করে তাদের পরিচয়পত্র তৈরি হয়। এবার পরিবারের সদস্যরা আসছেন বারুইপুরে। চোদ্দ বছর পরে ছেলে পাবে তার বাবাকে, স্ত্রী পাবেন স্বামীকে।
Comments :0