ডেবরায় দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে এক আদিবাসী মহিলাকে। অভিযোগ খেতমজুর এই মহিলা দোষীদের চিনতে পারায় তাঁর জিভ কেটে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত মাথায় আঘাত করে খুনের চেষ্টা হয়।
এমন নৃশংস ঘটনা ডেবরা থানার ৫/২ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। শুক্রবার ভোর হলে প্রতিবেশীরা দেখেন টিন দিয়ে কিছুটা ঘেরা ও দলমার ঘরের পিছনের অংশটি ভাঙা। তখন ওই মহিলা বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেননি। প্রতিবেশী এক গৃহবধূ বাইরে থেকে ডাকাডাকি করলেও কোনা সাড়া পাননি। ভিতরে গিয়ে দেখেন কম্বল চাপা দেওয়া রয়েছে সারা শরীর। কম্বল সরালে দেখেন বীভৎস দৃশ্য, শরীরে কাপড় চোপড় সরানো, চাপ চাপ রক্ত। জিভ ও মুখে ধারালো আঘাতের দাগ।
তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রক্তে বিছানা ভিজে গেছে। মেঝেতেও চাপ চাপ রক্ত রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেয় ওই মহিলার দেওর। পুলিশ এসে খেতমজুরী করে বেঁচে থাকা ওই মহিলাকে তড়িঘড়ি ডেবরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই নির্যাতিত মহিলা। স্থানীয়দের অনুমান মৃত্যু নিশ্চিত করতে ভারী কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। মারা গেছেন ভেবে কম্বল চাপা দিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
বছর তিনেক আগে ওই মহিলার স্বামী মারা গেছেন। নিঃসন্তান ওই মহিলা একাই এমন দরমা ও টিন দিয়ে ঘেরা খুপরিতে থাকতেন। প্রতিদিনের মতো একাই কুঠরিতে শুয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, শীতের রাতে দরমার ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দুষ্কৃতীরা মুখে কাপড় বেঁধে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। তার পর খুনের চেষ্টা করা হয়। মুখ ও জিভে কাটার দাগ। পরে জানা গিয়েছে ভারী কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করায় কোমায় চলে গেছেন তিনি। পুলিশ শুক্রবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
Comments :0