Multidimensional Poverty Index

সাফল্যে দেখাতে সাজানো হয়েছে দারিদ্রের হিসেব, দাবি প্রতিবেদনে

জাতীয়

পরিবারে কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা পোস্ট অফিস অ্যাকাউন্ট থাকলেই চিন্তা শেষ! ওই পরিবারের কাউকেই আর বঞ্চিত ধরা যাবে না। 
জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা জানিয়েছিল ৯০ শতাংশ নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে। ফলে বঞ্চনার হিসেব থেকে বাদ এই বিশাল অংশ। 
নরেন্দ্র মোদী সরকারের দারিদ্র সূচকে কারচুপির অভিযোগ তুলে এমনই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ‘দ্যা রিপোর্টার্স কালেকটিভ’। সেই প্রতিবেদনের কিছু অংশ প্রকাশ করেছে ইংরেজি সংবাদ পোর্টাল ‘দ্যা ওয়্যার’।  
নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার লাগাতার প্রচার করছে যে দশ বছরে অন্তত ২৫ কোটি মানুষকে বহুমুখী দারিদ্রের বাইরে নিয়ে আসা গিয়েছে দশ বছরে। এই তদন্তধর্মী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের পক্ষে সমীক্ষার ফলাফল আনতে সূচক বদলেছে সরকার। নীতি আয়োগের এক শীর্ষ আধিকারিকও এই অভিযোগে সম্মতি জানিয়েছেন বলে দাবি প্রতিবেদনে। 
রাষ্ট্রসঙ্ঘের বহুমুখী দারিদ্র সূচককে মোদী সরকারের নিজস্ব সূচকের ৩০টি মাপকাঠির একটি বিবেচনা করা হয়েছে। এই আন্তর্জাতিক সূচকের ওপর এত কম ভরসা কেন? প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সমীক্ষায় দেখা গিয়েচিল বহুমুখী দারিদ্র সূচকে ভারত ১০১ দেশের মধ্যে ৫৩ তম। তার আগে ১০৫টি দেশের মধ্যেও ওই জায়গাতেই ছিল ভারত। ফলে এই সমীক্ষার ভিত্তিতে অসাধারণ সাফল্যের দাবি করা কঠিন। নিজেদের মতো সূচক তৈরি করে গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়া হয় আন্তর্জাতিক সূচকের। সে জন্যই ৩০টি মাপকাঠির মধ্যে মাত্র একটি মাপকাঠিতে ধরা হয়েছে আন্তর্জাতিক সমীক্ষার মানকে। 
দারিদ্র্যের ক্ষেত্রে ভারতে মুখ্যত জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ করতে পারার মতে সামর্থ্যের ভিত্তিতে দারিদ্রের মাপকাঠি তৈরি হতো। অতীতেও এই মাপকাঠি নামিয়ে ধরা হয়েছে। যাতে দরিদ্রের অংশ কমিয়ে দেওয়া যায়। বহুমুখী দারিদ্রের হিসেবে আবার সবচেয়ে গুরুত্ব পায় তিনটি বিষয়- শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং জীবনমান।

Comments :0

Login to leave a comment