'স্থায়ী কাজ- ইনসাফের দাবিতে চাই ঐক্যবদ্ধ লড়াই, সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে জিতব আমরাই'। এই স্লোগানকে সামনে রেখে আগামী ২১ থেকে ২৩ জুন ডিওয়াইএফআই রাজ্য ২০তম সম্মেলন হবে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। ২১ জুন প্রকাশ্য সমাবেশে হবে বহরমপুরেই। সেই সমাবেশ ও সম্মেলনের সমর্থনে কলকাতার শ্যামবাজারের জনসভায় হলো সোমবার। 
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি, রাজ্য সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সাহা সহ রাজ্য ও কলকাতা জেলা নেতৃবৃন্দ। 
যুব নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ডিওয়াইএফআই’র মূল স্লোগান স্থায়ী কাজ চাই। কলকাতা কর্পোরেশন সহ রাজ্যের বিভিন্ন পৌরসভায় কর্মী নিয়োগ করতে হবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে ছাঁটাই বন্ধ করতে হবে। আরজি কর হাসপাতালে নিহত চিকিৎসক ছাত্রীর বিচারের দাবিতে লড়াই আন্দোলন সংগঠিত করতে হবে। সেই সঙ্গে গোটা বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই সংগঠিত করতে হবে।  
মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন, যুবদের লড়াইয়ের সঙ্গে জুড়তে হবে সমাজের অন্য অংশের মানুষের দাবিও। আমরা স্থায়ী কাজ ও মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে যুবদের জন্য লড়াই করছি। লড়াই করছি সরকারি শিক্ষা-স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বাঁচাতেও। 
তিনি বলেন, কিন্তু লড়াই করতে গেলে আমরা বারবার বাধার সম্মুখীন হচ্ছি, আক্রমণের সম্মুখীন হচ্ছে। আমাদের রাজ্যে দুই ধরনের গুন্ডা আছে। এক, যারা তৃণমূল নেতাদের পেছন পেছন ঘোরে ও তোলাবাজি করে। দুই, যারা কলকাতায় সাদা উর্দি পরে ও রাজ্যের অন্যান্য জেলায় খাকি উর্দি পরে। পশ্চিমবঙ্গের গুন্ডারাজ চলছে। এই গুন্ডারাজকে বন্ধ করতে হবে। না হলে গুন্ডারা সাধারণ মানুষকে জিততে দেবে না। আর এই লড়াইতে ডিআইএফআই প্রথম সারিতেই থাকবে।
ধ্রুবজ্যোতি সাহা বলেন, রাজ্যে শিল্পের সম্ভাবনা শেষ। গ্রাম থেকে যুবরা অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে। সেখানেও কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। মজুরি বাড়ছে না, কিন্তু প্রতিদিনের জীবনযন্ত্রণা তাদেরকে ঘিরে ধরেছে। যুবদের স্থায়ী কাজের দাবিতে সামাজিক সুরক্ষার দাবিতে আন্দোলন জোরদার করতে হবে। তারই রূপরেখা তৈরি হবে আগামী ২১ থেকে ২৩ শে জুন বহরমপুরে রাজ্য সম্মেলন। আলোচনা করব ভবিষ্যতের প্রতিরোধ সংগ্রাম নিয়ে। এই লড়াইতে ছাত্র-যুব, মহিলা, শ্রমিক, কৃষক, মেহনতি মানুষকে এক জায়গায় নিয়ে আসতে হবে।