মুর্শিদাবাদের লালগোলায় স্কুলের চাকরি প্রার্থী আবদুর রহমানের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এই নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর পর্যবেক্ষণ, এই আত্মহত্যার ঘটনার পিছনে বড় রকমের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে অনেকের যুক্ত থাকার সূত্র মিলতে পারে। ফলে এই আত্মহত্যার ঘটনাকে নিছক মৃত্যু হিসাবে দেখা ভুল হবে। সিবিআই’কে দ্রুত এই ঘটনার তদন্তে নেমে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে হবে।
রাজ্যে স্কুলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার দুর্নীতির তদন্তের সঙ্গে যুক্ত হল আরও একটি আত্মহত্যার ঘটনা। এর আগে মেদিনীপুর জেলায় একজন চাকরিপ্রার্থী আত্মহত্যা করেছেন। আবদুর রহমান তার সুসাইড নোটে এই নিয়োগ দুর্নীতির বিভিন্ন দিক লিখে গেছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন যে তিনি চাকরি পাওয়ার আশায় টাকা দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে নিজের অজান্তেই দুর্নীতি চক্রে জড়িয়ে পড়েন।
আবদুরকে দুর্নীতির কাজে ব্যবহার করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। আত্মহত্যার আগে নয় পাতার বয়ান লিখে যান। সেই বয়ান পুলিশের হাত ঘুরে আদালতের কাছে এসেছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু ব্যক্তি কীভাবে টাকা তুলেছে তার বিবরণ রয়েছে।
সুইসাইড নোটের শেষে লেখা রয়েছে , ‘মা তুমি আমায় ক্ষমা করো। আর দেখো দিবাকরের যেন কঠোর শাস্তি হয়।’
এই সুইসাইড নোট আদালতে জমা রয়েছে। গত সোমবার এই চাকরিপ্রার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় সিবিআই’র রিপোর্ট চেয়েছিল হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা মন্তব্য করেছিলেন এই আত্মহত্যার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। পুলিশের পাশাপাশি পাশাপাশি সিবিআই তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করুক।
লালগোলার আবদুর রহমানের পরিবারের অভিযোগ, চাকরির জন্য আবদুর কাউকে ৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিল। কিন্তু তারপরও চাকরি হয়নি। পুলিশ তদন্তে নেমে সেই দিবাকর কনুই সহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।
Comments :0