আসানসোল দক্ষিণ থানা এলাকার ফতেপুরের স্বাগতম রেসিডেন্সির বি-২ নম্বর বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন আরও এক জন। মৃতদের নাম বীরেন্দ্রনাথ চন্দ্র(৬৬), গায়েত্রী চন্দ্র(৫৭) ও বাবলু সিং(৫১)। অগ্নিদগ্ধ জখম বাবলু সিংয়ের স্ত্রী শিল্পী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে প্রথমে আসানসোল জেলা হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বাবলু সিং তাঁর স্ত্রী শিল্পী ওই বাড়িতে থাকতেন। শনিবার রাতে বাবুলুর শশুর বীরেন্দ্রনাথ ও শাশুরি গায়েত্রী চন্দ্রও ছিলেন বাড়িতে। শনিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাড়ির নিচ তলায় আগুন লাগে। প্রথমে আগুন নজরে আসে প্রতিবেশীদের। তারাই লক্ষ্য করেন ওই বাড়ি থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। প্রথমে তারাই ছুটে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। দ্রুত পুলিশ ও দমকলকে খবর দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই গোটা বাড়ি আগুনের গ্রাসে চলে আসে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন। স্থানীয়দের সহযোগীতায় দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ত্রণে আনে। ঘটনায় বাড়িতে থাকা চারজন অগ্নিদগ্ধ হয়। তাদের আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শিল্পী চট্টোপাধ্যায়কে গুরুতর জখম অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতাল প্রথমে ভর্তি করা হয়। তারপর সেখান থেকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে তাঁকে। দমকলের প্রাথমিক অনুমান শর্টসার্কিট থেকে এই আগুন লেগেছে। 
আসানসোল দক্ষিণ থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, আগুন লাগার ঘটনায় বাবলু সিং তাঁর শশুর ও শাশুরি অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। বাবলুর স্ত্রী শিল্পী চ্যাটার্জি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। যিনি আহত হয়েছেন, তিনি সুস্থ হলে আগুন লাগার কারণ জানা যাবে।