পুরীতে রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হলো তিনজনের আহত ১০ জন। শুক্রবার রথযাত্রা থাকলেও সেদিন পুরী মন্দির থেকে গুন্ডিচা মন্দিরে যায়নি জগন্নাথের রথ। গতকাল শুরু হয় কাত্রা। পুরী মন্দির থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দুরত্ব গুন্ডিচা মন্দিরের। জানা যাচ্ছে এদিন ভোরের সময় গুন্ডিচা মন্দিরের কাছে তিনটি রথ পৌঁছালে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। পদপিষ্ট হয় মারা যায় তিনজন। আহত হয়েছেন প্রায় ১০ জন।
ওড়িশার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। যেই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে দুজন মহিলা এবং একজন বৃদ্ধ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে পুলিশ পর্যাপ্ত পরিমানেই ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। জানানো হয়েছে তিনটি দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছিল যে রথের দিন প্রায় ৬০০ দর্শনার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ভিড়ের চাপে। কিন্তু তারপরেও কেন প্রশাসন সতর্ক হয়নি তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিজেপি সরকারকে নিশানা করেছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। তিনি বলেছেন, এই ঘটনা প্রমান করেছে যে রাজ্য সরকার এবং প্রশাসন ব্যার্থ দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে। মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরন মাঝি জানিয়েছেন গোটা বিষয়টির তদন্ত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য চলতি বছর কুম্ভমেলাকে কেন্দ্র করে তুমুল হিন্দুত্ববাদী প্রচার চালায় বিজেপি। গোটা দেশ জুড়ে চলে প্রচার। কিন্তু সেখানেও সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার। শাহী স্নানকে কেন্দ্র করে শুরু হয় তুমুল হৈহট্টগোল। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়ে বহু দর্শনার্থীর।
ওই পদপিষ্টের ঘটনার পর একাধিক দর্শনার্থী দায়ি করেছিলেন প্রশাসনকে। তাদের কথায় প্রশাসন ব্যাস্ত থেকেছে কুম্ভমেলা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে। বার বার প্রচার করা হয়েছে ৪৪ কোটি দর্শনার্থী কুম্ভ মেলায় এসেছেন, মৌনী অমাবস্যায় ১০ কোটি জনসমাগম হয়েছে। কিন্তু এই বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য যেই ব্যবস্থার প্রয়োজন তা ছিল না বলেই দাবি করেছিলেন কুম্ভে যাওয়া মানুষজন।
Puri
পুরীতে পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু, আহত অনেকে

×
Comments :0