ন্যূনতম বিবেকবোধ, লজ্জাবোধ থাকলে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করতেন মুখ্যমন্ত্রী। আশ্বাস অন্তত দিতেন। শনিবার আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান মঞ্চে এই মর্মে ক্ষোভ জানিয়েছেন মহম্মদ সেলিম। সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক চাকরিপ্রার্থীদের লড়াইকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন।
সেলিম বলেছেন, ‘‘তরুণ প্রজন্ম, বেকার যুবদের প্রতি, শিক্ষার প্রতি ন্যূনতম দায়বদ্ধতা থাকলে তিনি দেখা করতেন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী অপদার্থ।’’
ঈদের দিন আন্দোলনরতদের সঙ্গে দেখা করতে যান সেলিম। নববর্ষের দিনও চাকরিপ্রার্থীদের পাশে ছিলেন তিনি। সিপিআই(এম)’র এই পলিট ব্যুরো সদস্য বলেছেন, ‘‘ঈদ মানে মিলনের উৎসব। পরিবার, বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে সময় কাটানোর দিন। অথচ ঈদের দিনেও এই চাকরিপ্রার্থীরা তপ্ত রোদে বসে রয়েছেন মাটিতে অবস্থান মঞ্চে। পরিবার, বন্ধু বান্ধব ছেড়ে অনেক দূরে।’’ সেলিম বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নমাজ পড়ার অভিনয় করছেন অথচ কয়েক কদম দূরে এই অবস্থানরতদের কাছে আসতে পারছেন না।’’
এদিন রেড রোডে মাথা ঢেকে নমাজের অনুষ্ঠানে যান মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। ভাষণও দেন।
সেলিমকে ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। দেখা গিয়েছে প্ল্যাকার্ড, লেখা রয়েছে আপার প্রাইমারির মেরিট লিস্ট প্রকাশ করতে হবে।’ সেলিম বলেছেন, ‘‘এতদিন ধরে মিথ্যাচার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন আদালতের জন্য, বিকাশ ভট্টাচার্যের মতো আইনজীবীর জন্য, বিরোধীদের জন্য চাকরি দিতে পারছেন না। কিন্তু আপার প্রাইমারির মেরিট লিস্ট কেন প্রকাশ করা হচ্ছে ন? কারণ টাকা নিয়ে নিয়োগ করেছে আর যোগ্যদের বাদ দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী, আগের বা বর্তমান শিক্ষা মন্ত্রী থেকে বিভিন্ন বোর্ডের মাথায় আসীন যারা তাঁরা চাইছে না যোগ্যদের চাকরি দিতে। টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে যারা তাদেরই আড়াল করতে ব্যস্ত।’’
তৃণমূল সরকার যে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর আক্রমণ নামিয়ে আনছে সে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেলিম। স্কুল বন্ধ করা, যোগ্যদের শিক্ষক পদে নিয়োগ না করার ঘটনা টেনে এনেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের মাইনে পড়ানোর অধিকার ধুলোয় লুটাচ্ছে। প্রবল গরমে মাটিতে বসে লড়ছেন তাঁরা। বুঝতে পারছেন প্রতীকী সততা কোনটা আর আসল সততা কী। অধিকার কী। কিভাবে অধিকার লড়ে নিতে হয়।’’
Comments :0