BIMAN BASU

সরকার ব্যবস্থা নেয়নি বলেই অশান্তি,
সালকিয়ায় বিমান বসু

রাজ্য জেলা

BIMAN BASU সালকিিয়ায় বিমান বসু।

অনিন্দ্য হাজরা

শান্তি মিছিলকে মাঝপথেই আটকে দিল তৃণমূল সরকারের পুলিশ। সোমবার হাওড়ার সালকিয়া চার রাস্তার মোড়ে বিশাল পুলিশবাহিনী আটকে দেয় পথ। সিপিআই(এম) সহ বামপন্থী দলগুলির নেতৃবৃন্দ রাস্তাতেই বসে পড়ে অবস্থানে। রাস্তায় খোলা জিপের ওপর দাঁড়িয়ে ভাষণ দেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। 

বসু প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এবং পুলিশের ভূমিকায়। তিনি বলেছেন, ‘‘এই মিছিলের গোটা যাত্রাপথে নজরদারির জন্য ড্রোন ওড়ালো পুলিশ। বিশাল বাহিনী পথ আটকালো। ৩০ মার্চ পুলিশ যদি অস্ত্র মিছিলের পথ আটকাতো, নজরদারি করত, তা’হলে সাম্প্রদায়িক হিংসা এড়ানো যেত।’’ 

দশ দলের ডাকে শান্তি মিছিল শুরু হয় রবিবারই, হুগলীর কোন্নগর থেকে। সোমবার মিছিল হাড়ড়ার বালিঘাট থেকে পিলখানা পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। রামনবমীর মিছিলের নামে অস্ত্রহাতে প্ররোচনা এবং হিংসার প্রতিবাদেই এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। বিমান বসু বলেন, ‘‘শ্রমজীবী মানুষের ঐক্য গড়ে তোলাই এই সময়ে জরুরি কাজ।’’ 

সালকিয়ায় পুলিশি ঘেরাটোপ অগ্রাহ্য করে বেরিয়ে পিলখানায় চলে যান সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য। পিলখানায় সভা হয়েছে বাধা সত্ত্বেও। সালকিয়ার রাস্তায় পুলিশের বিশাল বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে মিছিলের ওপর। টেনে হিঁচড়ে আটকানোর চেষ্টা হয় শান্তি মিছিলে অংশ নেওয়া হাজারখানেক মানুষকে। টানা বেশ কিছুক্ষণ চলে ধস্তাধস্তি। এখানে রাস্তায় অবস্থান এবং সভা চলেছে প্রায় চল্লিশ মিনিট। 

বিমান বসু বলেন, ‘‘যে মিছিলে কোনও অস্ত্র নেই, তাকে থামাতে কত তোড়জোড়। অথচ অস্ত্রহাতে মিছিল হলো পুলিশের সামনেই।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘সরকার না চাইলে দাঙ্গা হয় না- কমরেড জ্যোতি বসুর এই বক্তব্য কত সত্যি বোঝা গিয়েছে ৩০ মার্চও। তৃণমূল সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। তৃণমূল বা বিজেপি, মানুষের মধ্যে বিভাজন ঠেকাতে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে পারে না।’’

বসু বাংলার ঐতিহ্য স্মরণ করিয়ে বলেছেন যেদীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন ভাষা, বিভিন্ন ধর্মের মানুষ রয়েছেন। এই ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে।  

Comments :0

Login to leave a comment