ভাস্কর দাশগুপ্ত
‘‘সময় হলো উঠে দাঁড়াও
আমরা যাবো মিছিলে,
এখন আছি অনেক ভালো
ভাবো একবার কি ছিলে !’’
( সজল শ্যাম )
মাতৃভাষা প্রত্যয়ের। মাতৃভাষা মহানুভবতার। আমরা প্রত্যেকে সেই বিশ্বাসেই আগামীর যাত্রী। সংস্কৃতির উৎসমূলে ভাষা। মাতৃভাষা। মাতৃদুগ্ধ মধুক্ষরা। মধুময় মাতৃভাষার মাটি। যে মাটি গায়ে মেখে সূর্য স্নান করি- পবিত্র হই, সংস্কৃতির গায়ে হাত রাখি।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি। বাংলা ভাষা আন্দোলনের এক চির স্মরণীয় দিন। রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙালির জাতিসত্তা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি দিয়েছিল। ভাষা আন্দোলনের মিছিলে পুলিশের গুলিতে সেদিন শহীদ হয়েছিল আব্দুল জব্বার, আবুল বরকত, রফিক উদ্দিন আহমেদ, আব্দুস সালাম, শফিউর রহমানরা। ’৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের সংখ্যাটা সঠিক বলা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
১৯৬৯ সালের ১৯ মে শিলচরে বাংলা ভাষার স্বাধিকার রক্ষার লড়াইয়ে ১১ জন বাঙালি শহীদ হয়েছিলেন। এই ইতিহাস আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু পুরুলিয়া জেলারও ভাষা আন্দোলনের একটা স্বতন্ত্র ইতিহাস আছে। ভাষা আন্দোলনের জেরে কেঁপে উঠেছিল গোটা জেলা । বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য ও ভাষাভিত্তিক প্রদেশ গঠনের দাবিতে জনজীবন সেদিন উত্তাল হয়ে উঠেছিল। শুরু হয়েছিল অহিংস সত্যাগ্রহ অভিযান। পুরুলিয়ার পুঞ্চা থানা পাকবিড়রা থেকে শুরু হয়েছিল এক ঐতিহাসিক পদযাত্রা। আজকের পুরুলিয়া সেদিনের মানভূমকে বাংলার সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য শুরু হয়েছিল এক বৃহত্তর আন্দোলন। তার নাম ছিল বঙ্গভুক্তি আন্দোলন বা বঙ্গ সত্যাগ্রহ। সেদিন পুরুলিয়ার মানুষ হিন্দিভাষাকে চাপিয়ে দেওয়া মেনে নিতে পারেননি। সে ঐতিহাসিক পদযাত্রায় পদযাত্রীদের কন্ঠে কন্ঠে ধ্বনিত হয়েছিল ভজহরি মাহাতোর লেখা টুসু গান-
"শুন বিহারি ভাই
তোরা রাইখতে লারবি ডাং দেখাই? "
সেই আন্দোলনে কানন বিহারী ঠাকুর মধুসূদন মাহাতো বৈদ্যনাথ মাহাতো জগবন্ধু ভট্টাচার্য ধ্রুবথ মাহাতো অসংখ্য গান রচনা করেছিলেন। গণ-আন্দোলনের চাপে ১৯৫৬ সালের পয়লা নভেম্বর মানভূম বিভক্ত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। বিভূতিভূষণ দাশগুপ্ত, অরুণচন্দ্র ঘোষ, লাবণ্যপ্রভা ঘোষ, ভজহরি মাহাতো, শ্রীশ ব্যানার্জি, জগবন্ধু ভট্টাচার্য সহ গণআন্দোলনের নেতা মহাদেব মুখার্জির অবদান কখনোই অস্বীকার করা যায় না।
টুসু গান ছিল – ‘‘মন মানে না হিন্দি সহিতে/ ভাষা মোদের হরে নিলো হিন্দিতে।/ মাতৃভাষা হরে যদি আর কি মোদের থাকে রে/ মধু বলে মাতৃভাষায় ধ্বজা হবে বহিতে।’’
সেই সময়ের সাংসদ ভজহরি মাহাতো লিখলেন- ‘‘সবাই মোরা চাইবো যেন বাংলা ভাষায় কাজ চলে। কত সুখে দিন কাটবেক মাতৃভাষায় গান বলে।’’
পুরুলিয়ার ভাষা আন্দোলন প্রসঙ্গে ডঃ শান্তি সিংহের একটি লেখা থেকে জানা যায় স্বাধীনতার পর বাংলাভাষী পুরুলিয়া ছিল অবিভক্ত বিহার রাজ্যের মানভূম জেলায়। ১৯৩১ সালের আদমসুমারির ফল অনুযায়ী জানা গিয়েছিল মানভূম জেলার সদর মহকুমা পুরুলিয়ার শতকরা ৮৭ জন বাংলা ভাষাভাষী। তবুও হিন্দি চাপানো হয়েছিল এই জেলার উপর। ১৯৪৮ সালের এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা করা হয়েছিল মানভূম জেলার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলা হরফের সাইনবোর্ড টাঙানো চলবে না। তা লিখতে হবে দেবনাগরী হরফে হিন্দি ভাষায়। বিদ্যালয় শুরুর প্রারম্ভে প্রার্থনা গীতি বাংলা গানে চলবে না, ‘রাম ধুন্’ আবশ্যিক। সেই সঙ্গে জেলা স্কুল পরিদর্শকের থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল যে সরকারি অনুদান প্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলিতে পঠন-পাঠনে বাংলা ভাষা চলবে না। হিন্দি ভাষা আবশ্যিক।
মানভূমের সিনেমা হল গুলিতে বিরতিকালীন বিজ্ঞাপনে ঘোষিত হতো: ‘Hindi is the mother language of Manbhum ’, হিন্দিই মানভূমের মাতৃভাষা।
গবেষক তরুণদেব ভট্টাচার্যের মানভূম থেকে পুরুলিয়া গ্রন্থে জানানো হয়েছে যে ভাষার ভিত্তিতে প্রদেশ গঠন বিষয়ে কংগ্রেসের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত ঘোষিত হয়েছিল ১৯৫৩ সালের জানুয়ারি মাসে হায়দরাবাদ অধিবেশনে। ব্যাপক গণবিক্ষোভের জেরে স্বাধীন ভারতের প্রথম যে প্রদেশ গঠিত হয়েছিল সেটি তেলেগু ভাষাভাষী প্রধান অন্ধ্রপ্রদেশ। যে আগুন এতদিন ধিকি ধিকি করে জ্বলছিল ভারত জুড়ে তাই এবার দাবানলের মতে ছড়িয়ে পড়েছিলো। সেই সময় গঠন করা হয়েছিল রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন। জনসাধারণ ও জনসমিতিগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাব আহ্বান করা হয়েছিল।
১৯৫১ সালের জনগণনার পরিসংখ্যান কিভাবে বিকৃত করা হয়েছিল সেটাও কমিশনের সামনে তুলে ধরা হয়েছিল।পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন দাবি খুঁটে খুঁটিয়ে দেখে কমিশন রিপোর্ট পেশ করেছিল তাতে ধানবাদ মহকুমার উপর পশ্চিমবঙ্গের দাবি নাকচ হয়েছিল। মানভূম জুড়ে শুরু হয়েছিল টুসু আন্দোলন। দল বেধে স্বেচ্ছাসেবকরা টুসু ও ঝুমুর গান গেয়ে আন্দোলনের প্রচার চালিয়েছিলেন। বড় বড় জনসভা ও মিছিল অনুষ্ঠিত হতে লাগল। ডঃ শান্তি সিংহের প্রবন্ধ থেকে জানা যায়- মানভূমের বঙ্গভক্তি আন্দোলনের প্রেক্ষিতে টুসু সত্যাগ্রহীদের আন্দোলনকে বিহার সরকার কঠোরভাবে দমন করার জন্য ১৯৫৪ সালে বিহারে জননিরাপত্তা আইনে সতের জন টুসু সত্যাগ্রহীকে এবং লোকসেবক সংঘের কর্ণধার অতুলচন্দ্র ঘোষ, লোকসভা সদস্য ভজহরি মাহাতো, লাবণ্যপ্রভা ঘোষ, অরুণচন্দ্র ঘোষ, সাংবাদিক অশোক চৌধুরীদের গ্রেপ্তার করেছিল।
তিয়াত্তর বছরের বৃদ্ধ অতুলচন্দ্র ঘোষকে খোলা ট্রাকের উপর চাপিয়ে পুরুলিয়া থেকে ১৩৫ মাইল দূরে হাজারিবাগ জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সাংসদ ভজহরি মাহাতোকে সাধারণ অপরাধীর মতো হাতকড়া দিয়ে, কোমরের দড়ি বেঁধে আদালতে আনা হয়েছিল। সেই সময় তার এগারো মাস কারাদণ্ড হয়েছিল। অতুলচন্দ্র ঘোষের সহধর্মিনী লাবণ্যপ্রভা ঘোষকেও কারাদণ্ডে দন্ডিত করা হয়েছিল।
বিভূতিভূষণ দাশগুপ্ত সম্পাদিত মুক্তি পত্রিকা (৮.৩.১৯৫৪) থেকে জানা গিয়েছিল বাবুলাল মাহাতো নামে পনেরো বছরের এক জন্মান্ধ বালকেরও তিন মাস কারাদণ্ড এবং দু’শো টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো দু’মাসের কারাদণ্ডের আদেশ জারি করা হয়েছিল। নানাভাবে সরকার আক্রমণ চালিয়েছিল। ১৯৫৪ সালের ২৯ মার্চ লোকসভার শিক্ষাগত দাবি সম্পর্কে আলোচনা কালে ভাষার প্রশ্ন উঠলে এন সি চ্যাটার্জী মানভূমের টুসু সত্যাগ্রহীদের উপর দমন নীতির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তিনি তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছিলেন ১৯৩১’র জনগণনায় মানভূম সদর মহকুমার শতকরা ৮৭ জন বাংলা ভাষাভাষী নরনারীর উল্লেখ রয়েছে। তাই এই অঞ্চলের বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে দমন করা অনুচিত।
কলকাতার আশুতোষ মেমোরিয়াল হলে এক আলোচনা সভায় ভাষাচার্য ড: সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন জাতীয় জীবনে শিক্ষায় ও মাতৃভাষায় পঠন পাঠনের অগ্রাধিকার একান্ত প্রয়োজন। সেই সঙ্গে হিন্দি ভাষা বিষয়ে অত্যুৎসাহ দেশের পক্ষে ক্ষতিকারক। তথাপি মানভূম জেলা জুড়ে সেই সময় হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার সপক্ষে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়েছিল। সেই সময় কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন।
১৯৫৫ সালের ২০ ডিসেম্বর দিল্লিতে লোকসভায় সাংসদ চৈতন মাঝি একটি ভাষণ দিয়েছিলেন। ১৯৫৬ সালের ২ জানুয়ারি মুক্তি পত্রিকায় সেই ভাষণের কিছু অংশ ছাপা হয়েছিল- ‘‘আমরা বিহারের বাংলাভাষী অঞ্চলগুলো চেয়েছি। সেই সকল অঞ্চলে আদিবাসীদের নিজস্ব কোনও ভাষা নেই। তারা একমাত্র বাংলাতেই কথা বলেন। যেমন ভূমিজ, দেশওয়ালি মাঝি, কড়া, মুদি, মাহলী ইত্যাদি। এবং প্রকৃতপক্ষে সাঁওতালরাই নিজেদের একমাত্র আদিবাসী বুলি বলেন এবং সঙ্গে বাংলা বলেন, যা তাদের দ্বিতীয় ভাষা। বিহার সরকার দাবি করেছে যে আদিবাসীদের সামাজিক জীবনের সম্বন্ধ বিহারের সঙ্গে। সে কথা ভিত্তিহীন। আমাদের সমস্ত সামাজিক সম্বন্ধ পশ্চিমবাংলার সঙ্গে। আমাদের বৃহত্তম সাংস্কৃতিক জীবন বাংলা সংস্কৃতির অনুগামী।’’
পুরুলিয়ার বঙ্গভুক্তি নিয়ে তৎকালীন মানভূমের বাংলা ভাষাভাষী বিস্তীর্ণ অঞ্চলে অসংখ্য নরনারী টুসু সত্যাগ্রহ আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছিলেন। ১৯৫৬ সালের ২১ জানুয়ারি বিহারের কংগ্রেসী সরকারের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসের প্রতিবাদে পুরুলিয়ায় বন্ধ পালিত হয়েছিল। পুরুলিয়া জেলার মানুষের সে প্রতিবাদী চরিত্র দেখে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ডা: বিধানচন্দ্র রায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কৃষ্ণ সিংহের সঙ্গে আলোচনা করে ১৯৫৬ সালের ২৩ জানুয়ারি যৌথ বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ বিহার একত্র করে পূর্ব প্রদেশ নামে নতুন প্রদেশ গঠিত হবে।
সেই হঠকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল সারা বাংলার মানুষ। কলকাতার সেনেট হলের ঐতিহাসিক সম্মেলনে যুক্তিপূর্ণ প্রতিবাদী ভাষণ দিয়েছিলেন মেঘনাথ সাহা, জ্যোতি বসু, কাজী আব্দুল ওদুদ, গোপাল হালদার, হেমেন্দ্রনাথ ঘোষ প্রমুখ। বাংলা ভাষার মর্যাদার দাবি নিয়ে মানভূম বিহার সংযুক্তির প্রতিবাদে দশ হাজার লোকের সমাবেশ হয়েছিল মানভূমের জামতাড়া গ্রামে। এরপরই সংঘটিত হয়েছিল সেই ঐতিহাসিক পদযাত্রা।
১৯৫৬ সালের ২০ এপ্রিল তীব্র গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে শুরু হয়েছিল ১০০৫ জন নরনারীর পুরুলিয়া থেকে কলকাতা অভিযান। পুরুলিয়ার পুঞ্চা থানার পাকবিড়রা গ্রাম থেকে শুরু হয়েছিল সেই পদযাত্রা। লোকসেবক সংঘের অতুলচন্দ্র ঘোষ এবং তার স্ত্রী লাবণ্যপ্রভা দেবীর নেতৃত্বে সে পদযাত্রা রওনা দিয়েছিল। বৃদ্ধ অতুলচন্দ্র ঘোষ গরুর গাড়িতে রওনা দিয়েছিলেন। আর কণ্ঠে ছিল টুসু গান আর রবীন্দ্রনাথের "বাংলার মাটি বাংলার জল"।
পুরুলিয়া থেকে কলকাতা পৌঁছাতে সত্যাগ্রহীদের ১৬ দিন লেগেছিল। বাঁকুড়া শহর, বেলিয়াতোড়, সোনামুখী, পাত্রসায়ের, খন্ডঘোষ, বর্ধমান শহর, রসুলপুর, মেমারি, পান্ডুয়া, মগরা, চুঁচড়া, চন্দননগর, গোঁদোলপাড়া ,শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া, হাওড়া পেরিয়ে ১৯৫৬ র ৬ মে সেই পদযাত্রীরা কলকাতা পৌঁছেছিলেন। ৭ মে বিকেল বেলায় সত্যাগ্রহীরা ডালহৌসি স্কোয়ার অঞ্চলে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। প্রেসিডেন্সি জেল, আলিপুর সেন্ট্রাল জেল এবং আলিপুর স্পেশাল জেলে সত্যাগ্রহীদের রাখা হয়েছিল।
বিভিন্ন গণসংগঠন, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, বামপন্থী দলের বিক্ষোভ সমাবেশ মানভূমের ভাষা আন্দোলনের ধারাকে সেদিন শানিত করেছিল। ওই বছরই ১৬ আগস্ট লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গ বিহার ভূমি সংস্কার বিল গৃহীত হয়েছিল। ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর ছিল পুরুলিয়ার বঙ্গভুক্তি। সেদিনই মুক্তি পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল।
কবি নরেন্দ্র দেব ও কবি জায়া রাধারানী দেবী একটি অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছিলেন। মুক্তি পত্রিকায় ছাপা কবিতাটির নাম ছিল ‘সুস্বাগতম’।
" বহু মানে আজ মানভূমে মোরা
এই শুভদিনে নিলাম বরি,
ধন্য হলেন জননী আবার
হারানো তনয় বক্ষে ধরি।
জয় গৌরবে এসেছে ফিরিয়া
সন্তান তার আপন গেহে,
ছিন্ন অঙ্গ দেশমাতৃকা
দেখা দিল পুনঃ পূর্ণ দেহে ।
জানি, জানি যাহা রয়ে গেলো বাকি
মাতৃভাষার ঐক্যতীরে
তোমাদের দৃঢ় সাধনার বলে
একদা তাহাও আসিবে ফিরে।"
২১শে ফেব্রুয়ারি কিংবা ১৯ মে’র ভাষা আন্দোলনের মতো পুরুলিয়ার ভাষা আন্দোলনেরও রয়েছে এক স্বতন্ত্র ইতিহাস, রয়েছে এক স্বতন্ত্র মর্যাদা।
তথ্যসূত্রঃ:
পুরুলিয়া : তরুণদেব ভট্টাচার্য ।
পুরুলিয়ার বঙ্গভক্তি ও ভাষা আন্দোলন: ডঃ শান্তি সিংহ।
জেলার সাহিত্যচর্চা- অতীত ও বর্তমান: মোহিনী মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ।
মানভূমের ভাষা আন্দোলন: ডঃ দয়াময় রায়।
Comments :0