West Bengal Grup D Recruitment Scam

নিয়োগ দুর্নীতিতে জলপাইগুড়ির দুই তৃণমূল নেতার নাম

রাজ্য

West Bengal Grup D Recruitment

শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ও যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জির ঘনিষ্ঠ ২ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, সিবিআই তদন্তে উঠে আসা বেআইনি নিয়োগের যে তালিকা জলপাইগুড়ির ডিআই’র কাছে পাঠানো হয়েছে, সেই তালিকায় রয়েছে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অজয় শার স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা ঘোষের নাম, যিনি সারিয়াম জশোধর হাই স্কুলে কর্মরত এবং শুভজিৎ রায়ের নাম, যিনি জলপাইগুড়ি শহরের দেশবন্ধু নগর উচ্চ বিদ্যালয়ে গ্রুপ-ডি কর্মী। শুভজিৎ রায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা স্তরের নেতা।

নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে এবিটিএ’র জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায় জানিয়েছেন, সিবিআই তদন্তে গ্রুপ-ডি ও গ্রুপ-সি পদে কর্মরত বেশ কিছু তৃণমূল-ঘনিষ্ঠর নাম উঠে এসেছে, যারা অনৈতিকভাবে অর্থের বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁরা চান, এই সমস্ত অযোগ্যকে অবিলম্বে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হোক। শুধু এদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করলেই হবে না, কালিঘাট থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত যে সমস্ত তৃণমূলের নেতা এই শিক্ষক এবং গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

 


এবিপিটিএ’রর রাজ্য সহ সভাপতি তথা সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সম্পাদক বিপ্লব ঝা  বলেন, শিক্ষক নিয়োগ এবং গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগে দুর্নীতির কথা ২০১৪ সাল থেকে ছাত্র-যুব সহ বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনের তরফে বলা হচ্ছে। সেই সময়ে এই অভিযোগে রাজ্য সরকার কর্ণপাত করেনি। সিবিআই তদন্তে এখন নামগুলি উঠে আসছে। দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের আত্মীয়-স্বজন সহ ওই দলের বহু কর্মী অর্থের বিনিময়ে অনৈতিকভাবে এই সমস্ত পদে চাকরি পেয়েছেন। অবিলম্বে তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা প্রয়োজন। এই অনৈতিক নিয়োগে যাদের মাধ্যমে অর্থের লেনদেন হয়েছে, তাদেরকেও অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা দরকার।

Comments :0

Login to leave a comment