তুমুল ঝড়বৃষ্টিতে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে শতাধিক বাসিন্দা মারা গিয়েছেন। দু’দেশেরই সরকারি বিপর্যয়ক মোকাবিল বিভাগ সতর্কতা জারি করেছে।
পাকিস্তানেই মৃতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে। উত্তর পশ্চিমের খাইবার পাখতুনখোওয়া প্রদেশে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশেও প্রাণ গিয়েছে মানুষের। বহু রাস্তার ওপর দিয়ে বইছে জল। ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে বহু।
আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া খাইবার পাখতুনখোওয়া প্রদেশের প্রশাসন জানিয়েছে ২১ দেহ উদ্দার করা গিয়েছে। উদ্ধারের কাজ চলছে। দক্ষিণ পশ্চিমের বালুচিস্তান প্রদেশেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজধানী ইসলামাবাদেও ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। ত্রাণের কাজে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার ঘোষণা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যে কোনও সময় ফের ঝড়বৃষ্টি হতে পারে পাকিস্তানের এই অংশে।
আপগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন জানিয়েছে ৬০০-র বেশি ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে ঝড়ে। কৃষির ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে বহু জায়গায়। প্রশাসন বলেছে অন্তত ২৩হাজার পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। হড়পা বান হয়েছে দেশের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে কুড়িটিতেই।
গত অক্টোবরেই আফগানিস্তানের হেরাটে ভূমিকম্পের জেরে মারা যান ১৫০০ বাসিন্দা। ফের ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ল আফগানিস্তান।
পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে আচমকা তীব্র ঝড়বৃষ্টির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০২২ সালে পাকিস্তানে প্রবল বন্যায় প্রাণ গিয়েছিল ১৭০০ মানুষের। বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন বহু। ৩ কোটি বেশি বাসিন্দার জীবনে সরাসরি প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব পড়েছিল।
Comments :0