বছরশেষে প্রধানমন্ত্রীর এমন প্রতিশ্রুতি মনে করিয়েই প্রশ্ন তুলল সিপিআই(এম)। বৃহস্পতিবার সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ৩৬ সেকেন্ডের ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। যার শুরুতেই বেজে উঠছে জনপ্রিয় হিন্দি গান, ‘কেয়া হুয়া তেরা ওয়াদা’।
১৯৭৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘হাম কিসিসে কম নহি’ ছবিতে মহম্মদ রফির কন্ঠে এই গান অন্যতম ক্লাসিক। ভিডিওতে দর্শককে বলা হয়েছে, ‘‘আপনি কি ২০২২ সালের গোড়ায় নেওয়া ‘নিউ ইয়ার্স রেজোলিউশন’ পালন করে উঠতে পারেননি? সারা বছরের সাজানো প্ল্যান চৌপাট হয়েছে কয়েক দিন যেতে না যেতেই? আপনার সঙ্গে এটা হয়ে থাকলে খুব বিশেষ ঘাবড়ানোর কিংবা মন খারাপ করার প্রয়োজন নেই। কারণ আপনি একা নন! এদেশের সরকারও নিজের ‘রেজোলিউশন’ স্রেফ ভুলে মেরে দিয়েছে!’’
২০১৩-১৪ সাল থেকে নরেন্দ্র মোদী ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছেন। কখনও তিনি বলেছিলেন, ২০২২ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতি ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের দোরগোড়ায় পৌঁছবে, আবার কখনও চলতি বছরের মধ্যেই দেশের প্রতিটি বাড়িতে জল, আলো এবং শৌচালয় তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মোদী।
একইসঙ্গে একাধিকবার মোদী দাবি করেন, ২০২২ সালের মধ্যে দেশে বুলেট ট্রেন চলবে। লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে তিনি ২০১৮ সালে ঘোষণা করেন, ২০২২ সালে মহাকাশে দেশীয় প্রযুক্তিতে মানুষ পাঠাবে ভারত। স্বাধীনতার ৭৫ বছরকে সামনে তাঁর মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যা স্মৃতি ইরানীও ঘোষণা করেছিলেন ২০২২ সালের মধ্যে অপুষ্টি মুক্ত দেশ ঘোষিত হবে ভারত।
এ বছরও বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে আরও নেমেছে ভারত, একেবারের নিচের দিকে। বেকারির হার উদ্বেগজনক হয়েই আছে। তেমনই চড়া মূল্যবৃদ্ধির হার।
২০২০ থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে অর্থনীতি দ্বিগুন না হলে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্য নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা যাবে না। সরকারের তরফে সম্প্রতি সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে যে কোভিডে কারণে মাঝে দু’বছর সঙ্কট হয়েছে। ফলে সময়সীমা বাড়াতে হবে।
সিপিআই(এম) সরকারের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছে তথ্য দিয়েই। ডিসেম্বরে দেশে বেকারির হার ৮.৮ শতাংশ। নভেম্বরে ছিল ৮ শতাংশ। অক্টোবরে শিল্প উৎপাদন ৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
ভিডিও’তে মন্তব্য, ‘‘আগামী বছর মোদী সরকারের মতো হলে চলবে না। যাতে কাজের কাজ হয় দেখতে হবে।’’
Comments :0