সরাকরি নিয়ম মেনে কাজ করতে বলায় ব্লক অফিসের মধ্যে শাসকদলের মদতে ঠিকেদারও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ারকে হেনস্থাও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় মন্তেশ্বর ব্লক অফিসে। অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির মদতেই এই হামলা চালায় ঠিকেদার।
গত শুক্রবার পিপলন অঞ্চলের ইচু এলাকায় একটি রাস্তার কাজ পরিদর্শন করতে যান ইঞ্জিনিয়ার শুভাশিষ বিশ্বাস। তিনি ঠিকেদারকে সরাকরি স্যিডুল মেনে কাজ করতে বলেন কিন্তু ঠিকেদার মুখের উপর বলে দেন তিনি সরাকরি নিয়ম মেনে কাজ করতে পারবেন না। এরপরই ওই দিন বিকালে ঠিকেদার ফোন করে বিডিও’র চেম্বারে আসতে বলেন ইঞ্জিনিয়ারকে। সেই সময় চেয়ারে বিডিও, মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, ঠিকেদার উপস্থিত ছিলেন সেখানে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহমেদ হোসেন চিৎকার করে বলেন সরকারি সিডুল না মেনেই কাজ করবে ঠিকেদার। কিন্তু ওই ইঞ্জিনিয়ার রাজি না হওয়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি খুবই খারাপ ভাষাতে দুর্ব্যবহার করে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিডিও’র সামনে হুমকি দেন নিয়ম মেনে কাজ এখানে চলবে না মেরে মুখ ভেঙ্গে দেবেন তিনি। এ সবই লিখিতভাবে বিডিওকে জানিয়েছেন আক্রান্ত ইঞ্জিনিয়ার। তিনি আরো লিখেছেন, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছাড়া মন্তেশ্বরে তিনি কোন কাজ করাতে পারবেন না। যদি কাজ করায় তাহলে ইঞ্জিনিয়ারের পেছনে লোক লাগিয়ে গলায় গামছা পেচিয়ে চোর সাজিয়ে পিটিয়ে মারবেন। বিডিও’র সামনে তাঁর একজন কর্মীর উপর এমন খারাপ মন্তব্য শুনেও বিডিও কিছু বলেননি। ফলে আতঙ্কে ভুগছেন ওই ইঞ্জিনিয়ার। তিনি লিখিত অভিযোগে বলেছেন, সব ঘটনায় সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা আছে। শাসকদলের অত্যাচারে যে সৎ ভাবে কোন সরকারি কর্মীরা কাজ করার কাজের পরিবেশ নেয় এই ঘটনা সেটাই প্রমান করে।
এই ঘটনার পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন ওই ইঞ্জিনিয়ার তিনি বিডিাওকে বলেছেন, এই হুমকির ফলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। তিনি আশঙ্কা করছেন ভবিষ্যতে কার্যক্ষেত্রে গলে তিনি আক্রান্ত হতে পারেন, মানসিকভাবে হেনস্থা ও প্রাণনাশের সম্ভাবনা আছে। ভয়মুক্ত কাজের পরিবেশ যে নেই সেটাই তিনি বিডিওকে লিখিত চিঠিতে জানিয়েছেন। কিন্তু বিডিও কোন ব্যবস্থায় গ্রহণ করেনি এমনটাই অভিযোগ। ফলে গোটা অঞ্চলে শাসকদল, বিডিও’র বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছড়িয়েছে।
Engineer Harassed
ইঞ্জিনিয়ারকে হেনস্থা ও প্রাণনাশের হুমকি
×
Comments :0