চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের কাজে ফেরানোর পক্ষে মত জানালো এবারের উচ্চমাধ্যমিকে দ্বিতীয় তুষার দেবনাথ। কোচবিহারের বক্সিরহাট হাই স্কুলের এই ছাত্র বলেছে যে , স্কুলগুলিতে শিক্ষক -শিক্ষিকার অভাব রয়েছে। ফলে নতুন করে শিক্ষক শিক্ষিকার নিয়োগের প্রয়োজন । উল্লেখ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন সুপ্রিম ও হাই কোর্টে যোগ্যদের নাম না জানানোয় পুরো প্যানেল বাতিল হয়ে যায়।
কোচবিহারের বক্সিরহাট হাই স্কুলের এই ছাত্র বলেছে যে , স্কুলগুলিতে শিক্ষক -শিক্ষিকার অভাব রয়েছে। ফলে নতুন করে শিক্ষক শিক্ষিকার নিয়োগের প্রয়োজন । তুষার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। তুষার বাংলায় পেয়েছে ৯৭, ইংরেজিতে ৯৯, কেমিস্ট্রিতে ১০০, অঙ্কে ১০০, ফিজিক্সে ১০০ এবং বায়ো সায়েন্সে ৯৭ নম্বর।
পরীক্ষার ফলাফল ভালো হবে এটা আশা করেছিলো তুষার। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকার দ্বিতীয়তে তার নাম উঠে আসবে, এটা তার কাছে অপ্রত্যাশিত বলে এদিন জানায় সে। উল্লেখ্য ২০২৩সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৬৮৪ নম্বর পেয়ে নবম স্থান অধিকার করেছিলো এই তুষার দেবনাথ।
কোচবিহার জেলার আসাম সীমান্তবর্তী তুফানগঞ্জ ২নং ব্লকের বক্সিরহাট সুভাষপল্লী এলাকার বাসিন্দা তুষার দেবনাথ। বাবা তপন দেবনাথ বাজারের একজন সবজি ব্যবসায়ী এবং মা অঞ্জনা দেবনাথ গৃহবধু। ছেলের এই সাফল্যে খুশি তারা।
নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে তুষার ছোট থেকেই মেধাবী। আগামীতে আইআইটি-তে পড়ার ইচ্ছে তার। ভবিষ্যৎ জীবনে বিজ্ঞানী হতে চায় সে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে দিনে সর্বাধিক ৫ঘন্টা পড়াশোনা করতো তুষার। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলার প্রতি আকর্ষণ রয়েছে তার। প্রতিটি বিষয়ে একজন করে শিক্ষক ছিল তুষারের। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের পাশাপাশি গৃহ শিক্ষক ও সর্বোপরি বাবা, মা, দাদার অকুণ্ঠ সহযোগিতায় এই সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে সে বলে এদিন অকপটে জানায় তুষার।
তুষারের মা অঞ্জনা দেবনাথ এদিন জানান, দারিদ্রতার মধ্যেই ছেলেকে মানুষ করছেন তারা। তিনি জানান, বিনা পারিশ্রমিকেই বিভিন্ন বিষয়ের গৃহ শিক্ষকরা তুষারকে পড়িয়েছেন। ছেলের কৃতিত্বের পেছনে তাদের অবদান অনেকটাই। অঞ্জনা দেবী বলেন, ছেলের আগামী স্বপ্ন বিজ্ঞানী হওয়া। অর্থাভাবে যাতে তার এই স্বপ্নভঙ্গ না হয়, এব্যাপারে সকলের সহযোগিতা এদিন প্রার্থনা করেন তিনি। উল্লেখ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন সুপ্রিম ও হাই কোর্টে যোগ্যদের নাম না জানানোয় পুরো প্যানেল বাতিল হয়ে যায়।
Comments :0