প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৫ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল বড়ঞার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে। ভাইরাল হয়েছে বিধায়ক ও বড়ঞা থানার ওলাহাটের বাসিন্দা দীপক মণ্ডল নামের এক ব্যক্তির টেলিফোন কথপোকথনের রেকর্ডিং। যদিও কল রেকর্ডিং’এর সত্যতা যাচাই করেনি গণশক্তি। ওই রেকর্ডিং’এ শোনা যাচ্ছে, স্ত্রী গার্গী ঘোষের চাকরির জন্য বিধায়ককে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছেন দীপক মণ্ডল নামের ওই ব্যক্তি। সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ওই অডিও ক্লিপ। সেখানে শোনা যাচ্ছে বিধায়ক বলছেন, “একটু টাইল লাগবে দিয়ে দেব। সব দিতে পারবো না। অল্প অল্প অরে দিয়ে দেবো”। দুই তিন মাসের মধ্যে প্রথম কিস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক। ফোনে দশ দিনের মাথায় ফোন করার কথাও বলছেন। ‘খাতা দেখে দেখে সবাইকে ফোন করছি’, এই কথাও বলতে শোনা যাচ্ছে। সুমিত সাহা নামের বিধায়কের এক ভাগ্নের মাধ্যমে তিনি গিয়েছিলেন বলেও দাবি করছেন দীপক। প্রায় তিন মাসে আগে ফোনে ওই কথোপকথন হয় বলে দাবি।
‘সবাইকে দিতে হচ্ছে, ওই জন্য টাইম লাগছে’, কল রেকর্ডিং’এ বলছেন বিধায়ক।
ওই কন্ঠস্বর তার এবং বিধায়কের বলে দাবি করেছেন দীপক মণ্ডল। দীপক মন্ডল বলেন, ‘২০১৭র টেট ২০২১ এ হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে ক্যাশ দিয়েছিলাম। প্রথমে ৮০ হাজার পর চার লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা দিয়েছিলাম। এক টাকাও ফেরত পাই নি। উনি বলেছিলেন টাকা ফেরত দেবেন, টাইম লাগবে। এখন ফোন করছি, ফোন রিসিভ করছে না। আমি টাকা ফেরত চাই’।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বড়ঞার বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা। ওই কন্ঠস্বর তার নয় বলে দাবি করেছেন বিধায়ক। মমতা ব্যানার্জি এবং অভিষেক ব্যানার্জির অনুপ্রেরণাতেই তিনি চলেন বলে দাবি বিধায়কের। জীবন কৃষ্ণ সাহা বলেন, ‘আমি আইনের দারস্থ হব। দলকে জানাবো’।
Comments :0