kota

কোটায় আত্মহত্যা কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ দাবি প্রশাসনের

জাতীয়

কোটায় আত্মহত্যার সংখ্যা কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে কোটার এক আধিকারিক রবীন্দ্র গোস্বামী জানিয়েছেন, "গত বছরের তুলনায়, এই বছর কোচিং শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার ৫০ শতাংশ কমেছে।  আমরা আশা করি ভবিষ্যতে এই প্রবণতা অব্যাহত থাকবে।" 
কোটায় চলতি বছর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ১৭টি। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৬, এমনটাই বলছে পরিসংখ্যান।

গোস্বামীর মতে, জেলা প্রশাসনের নজরদারির অধীনে কোচিং ইনস্টিটিউট এবং হোস্টেলগুলির জন্য নির্দেশিকাগুলি কঠোরভাবে মেনে চলার কারণে আত্মহত্যার ঘটনা কমেছে।
ওই আধিকারিক জানিয়েছেন ছাত্রদের সাথে কথা বলা, তাদের অবসাদ কটানোর ক্ষেত্রে যেই যেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা কাজে এসেছে।
তবে কোটায় যে ছাত্র ভর্তির সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে তা মেনে নিয়েছে প্রশাসন। চলতি বছর প্রায় এক লক্ষ পড়ুয়ার কোটার বিভিন্ন কোচিং গুলোয় ভর্তি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্য বছর গুলোয় এই সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ থেকে আড়াই লক্ষ।

ডাক্তারি পাঠক্রমে ভর্তির পরীক্ষা নিট এবং আইআইটিতে ভর্তির জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা সহ বিভিন্ন সর্বভারতীয় পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য রাজস্থানের কোটায় গড়ে উঠেছে বিরাট সংখ্যক কোচিং সেন্টার। সারা দেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী ওই সব কোচিং সেন্টার ভর্তি হয়। তাদের থাকার জন্য এখানে তৈরি হয়েছে বড় সংখ্যায় হস্টেল বা গেস্ট হাউস।
সেই সূত্রে গোটা দেশে কোচিং হাব বলেই পরিচিত কোটা। কিন্তু সমস্যা হলো, প্রতি বছরই পড়াশোনার তীব্র চাপে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে বহু ছাত্র-ছাত্রী এখানে আত্মঘাতী হয়। এমন অভিযোগও রয়েছে যে, উচ্চ আয়ের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ইঁদুর-দৌড়ে ঠেলে দিয়ে মা-বাবারা সন্তানদের জীবনই আসলে কেড়ে নিচ্ছেন। গত কয়েক বছর কোটায় বাড়তে থাকা পড়ুয়া আত্মহত্যা চিন্তায় ফেলে প্রশাসনকে সিলিং ফ্যানে স্প্রিং লাগানো থেকে একাধিক পদক্ষেপ নেয় জেলা প্রশাসন।

Comments :0

Login to leave a comment