সারদা কান্ডে দীর্ঘদিন জেলে থাকা কুণাল ঘোষের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘অনেক আগে থেকে বলে আসছি আমরা তদন্তের মুখোমুখি হতে তৈরি। আদালতে মহম্মদ সেলিম নিজে এই কথা জানিয়েছেন। তলব করুক। কোথাও পালাবো না। কোন হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, ডিভিসন বেঞ্চে যাবো না। তাহলেই তো দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যাবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কুণাল ঘোষ নিজে বার বার বলেছেন সারদার সব থেকে বড় বেনিফিসিয়ারির নাম মমতা ব্যানার্জি তাহলে তো মমতা ব্যানার্জিকেও ডাকতে হবে। অপরাধীরা নিজেদের নাম আড়াল করতে অন্যদের নাম নিচ্ছে। বিমান বসুর নাম পর্যন্ত ব্যবহার করছে।’’
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে কাশ্মীর থেকে গ্রেপ্তার হন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। তারপর গ্রেপ্তার হয়েছেন কুণাল ঘোষ, মদন মিত্রর মতো তৃণমূল নেতারা। যদিও এখন তারা জেলের বাইরে। কিন্তু ২০১৩ সালে গ্রেপ্তার হলেও ২০২০ সালে চিঠিতে সুদীপ্ত সেন দাবি করেন যে, সুজন চক্রবর্তী, বিমান বসু, শুভেন্দু অধিকারি তার থেকে টাকা নিয়েছে। যদিও সারদা কান্ডের সময় শুভেন্দু তৃণমূলে ছিল।
এই প্রসঙ্গে চক্রবর্তী বলেন, ‘‘গ্রেপ্তার হওয়ার সাত বছর পর সুদীপ্ত সেনের অভিযোগ করছে যে আমরা টাকা নিয়েছি। ওনার মনে পড়লো না পুলিশের ঘেরা টোপে তৃণমূলের নেতারা এই চিঠি তাকে দিয়ে লিখিয়ে নিলো?’’
কয়েক মাস আগে সারদা কান্ডে অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখার্জির মা আদালতে অভিযোগ করেন যে দেবযানীর ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে বয়ানে সুজন চক্রবর্তী, বিমান বসুর নাম বলার জন্য। দেবযানী মুখার্জির মায়ের এই কথাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এখনও পর্যন্ত সিআইডি বা রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন মামলা করা হয়নি।
সিবিআই জেরা এড়াতে বার বার হাই কোর্ট সুপ্রিম কোর্টে দৌড়েছেন অভিষেক ব্যানার্জি। এমনকি আজ সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল সাংসদকে কটাক্ষ করে চক্রবর্তী বলেন, ‘‘যে ফাঁসি মঞ্চে যেতে তৈরি সে হাজিরা এড়াতে এতো দৌড়াচ্ছে কেন?’’
Comments :0