কাকদ্বীপ হত্যাকাণ্ডে বিশেষ তদন্ত দল গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
১৩ মে, ২০১৮'তে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগের রাতেই কাকদ্বীপ- নামখানার বুধাখালির ২১৩ নং বুথে তৃণমূলের দুস্কৃতিরা মধ্যযুগীয় বর্বরতা- নৃশংসতাকে হার মানিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল সিপিআই(এম) কর্মী দেবু দাস-ঊষা দাসকে।
তাঁদের একমাত্র পুত্র দীপঙ্কর দাস বাড়ির বাইরে থাকায় সেই রাতে প্রাণে বেঁচে যায়। মামলায় সুবিচার ও হত্যাকারীদের শাস্তির জন্য সামলা গায়ে আদালতে সওয়াল করেছে দীপঙ্করই। তাঁর সিনিয়র আইনজীবীদের হাত ধরে সওয়াল করেন তিনি।
এই হত্যাকাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ উঠেছে অপরাধীদের আড়াল করার।
সিপিআই (এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শমীক লাহিড়ী বলেছেন, "তৃণমূল সরকারের নির্দেশে সর্বোচ্চ পুলিশ আধিকারিকদের ষড়যন্ত্রে, প্রকৃত হত্যাকারীদের বাঁচাতে মিথ্যা মামলা সাজিয়েছিল স্থানীয় পুলিশ।
সাজানো তদন্তে মিথ্যা চার্জশিটও দাখিল করেছিল পুলিশ। আজ কলকাতা হাইকোর্ট, দেবু দাস ও উষা দাসের নৃশংস হত্যাকান্ডের সেই সাজানো পুলিশি তদন্ত বাতিল ঘোষণা করল। "
হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা আজ সম্পূর্ণ নতুনভাবে স্বাধীন তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্য পুলিশকে। আইপিএস আধিকারিক দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল তদন্ত করবে।
সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে অনেক বড় জয় পাওয়া গেল ঠিকই, কিন্তু লড়াই শেষ হ'লো না। চলবে নজরদারি, নতুন তদন্তের গতিপ্রকৃতির ওপর।
আইনজীবী সব্যসাচী চ্যাটার্জী ও তাঁর সহকারীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন লড়াইয়ের সহকর্মীরা। সিপিআই(এম) দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী বলেছেন, “হত্যাকারীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবেই।”
Comments :0