TMC Corruption: Mongalkote

তৃণমূলের ‘মজনু-খোকন’ দৌড়াত্মে ত্রস্ত মঙ্গলকোট!

জেলা

বাদিকে খোকন, ডানদিকে মজনু

মজনু শেখ এবং খোকন শেখ নামক দুই তৃণমূলী উপপ্রধান এবং অঞ্চল প্রধানের ত্রাসে ত্রস্ত মঙ্গলকোট। জুয়ার ঠেক থেকে বে‌আইনি টোল, বালি খাদান, আবাস যোজনার বাড়ি, দেহ ব্যবসার গল্প যেন হারা মানাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের যেকোনো ক্রাইম থ্রিলারকে। খোদ তৃণমূলের কার্যালয়ে জুয়ার ঠেক পরিচালনার ভিডিও পর্যন্ত ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরিচালনা করতে দেখা যায় উপ প্রধান মজনু শেখকে! জুয়ার ঠেক চলছে রমরমিয়ে।  এমনই অভিযোগ ওঠে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের তৃণমূল পার্টি অফিসে।  
‘‘খেলা হবে’’! তবে সেটা যে জুয়া, তা জানা যায় পালিগ্রামের কীর্তিমান উপপ্রধান মজনু শেখের সৌজন্যে! ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় শুরু হয়েছে শোরগোল। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে জমজমাট জুয়ার আসর মঙ্গলকোটের পালিগ্রামের তৃণমূল অফিসে। কেউ খেলছেন, কেউ দর্শক হয়ে ‘উৎসাহ’ দিচ্ছেন জুয়ারিদের। 


এই প্রথম নয়, রাত নামলেই দলীয় কার্যালয়ে মদের আসর এবং দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগও রয়েছে মজনু শেখের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, ট্রাকের খালাসি থেকে উল্কার গতিতে সম্পত্তি বৃদ্ধি পায় তার, রাজ্যে পালা বদলের পর থেকেই। সিনেমার চিত্রনাট্যও কার্যত হার মানবে মজনুর ওরফে ‘বুলেট’ শেখের জীবনের এই রূপকথার মতো স্ক্রিপ্ট দেখে। সম্প্রতি, এলাকার নির্মাণ কাজ ব্যহত রেখে, অসম্পূর্ণ সেই কাজের বিল লিখে দেওয়ার জন্য সরকারি আধিকারিকের ওপর চাপ দেয় এই মজনু। না লিখে দিলে খুনের হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ। রয়েছে পালিগ্রামে আবাস যোজনা নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ। অভিযোগ, এলাকার ১২ জনের নামে বরাদ্দ ঘর ‘গায়েব’ করে দিয়েছে মজনু-খোকন জুটি। সমস্ত দু’নম্বরি কাজে মজনুর দোসর তৃণমূলের অঞ্চল প্রধান রহিম ওরফে খোকন শেখ। খোকন শেখের উত্থানও হার মানাবে সিনেমার স্ক্রিপ্টকে। বাম আমলে রুটি বিক্রি করে সংসার চালানো খোকন বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান এবং দুর্গাপুরে বিপুল জমি, গাড়ি, বাড়ি, লরি, ট্রাক্টরের মালিক। 

পালিগ্রাম পঞ্চায়েত নিজেদের বেআইনি টোল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা কামানোর অভিযোগও রয়েছে। প্রায় ৩০০ ডাম্পার বালি অবৈধভাবে জমা করে রাখারও অভিযোগ রয়েছে দুজনের বিরুদ্ধে। এই দুই কীর্তিমানের মাথায় মঙ্গলকোটের বিধায়ক  অপূর্ব চৌধুরীর হাত থাকায় কেউই কেশাগ্র স্পর্শ করতে পারেনা এদের। এলাকাবাসীদের দাবি, ‘‘কার্যত এরা দু’জন দুষ্কৃতি। সব ধরণের খারাপ নেশা, অভ্যাস এদের রয়েছে। এদের যাবতীয় অপকর্ম থেকে অর্জিত অর্থের একটা বড় ভাগ যায় মঙ্গলকোটের বিধায়ক অরূপ চৌধুরীর পকেটে। বিধায়কের বরাভয়েই এই দুজনের এত বাড়বাড়ন্ত।’’ গ্রামবাসীদের আরও প্রশ্ন খোকন শেখের ছেলে মহিম শেখের জীবনযাপন নিয়েও। সামান্য একটি সংস্থায় চুক্তি ভিত্তিক চাকরি করে  দুটো মোটর বাইক এবং একটা চার চাকা গাড়ি এবং বিলাসবহুল জীবন কিভাবে সম্ভব।? প্রশ্নের জবাব পঞ্চায়েত ভোটে দেওয়ার জন্য মুখিয়ে গ্রামবাসীরা।  

Comments :0

Login to leave a comment