অমিত কুমার দেব
দুষ্কৃতী হামলায় মৃত্যু হল কোচবিহার জেলার শীতলকুচি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত সদস্যা, তার স্বামী এবং এক কন্যার। গুরুতর যখন অবস্থায় তাদের আরেক কন্যা বর্তমানে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। মৃতরা হলেন নীলিমা বর্মন (৫২), বিমল কুমার বর্মন(৬৮)এবং রুনা বর্মন (২৪)। আশঙ্কাজনক ২২বছর বয়সী ইতি বর্মন কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সূত্রে খবর প্রেম ঘটিত কারণেই শুক্রবার ভোর ৪ টা ৪০মিনিট নাগাদ এক স্থানীয় যুবক বিভূতিভূষণ রায় এই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে ঢুকে ধাঁরালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালায়।
রীতিমতো ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি ভাবে কোপানো হয় পঞ্চায়েত সদস্যা সহ তার স্বামী এবং দুই মেয়েকে। গুরুতর জখম অবস্থায় এই চারজনকেই মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলে পঞ্চায়েত সদস্যা নীলিমা বর্মন ও তার স্বামী বিমল কুমার বর্মনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। গুরুতর জখম তাদের দুই মেয়ে রুনা বর্মন এবং ইতি বর্মনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে মাথাভাঙ্গা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। এখানে তাদের বড় মেয়ে ২৪ বছর বয়সী রুনা বর্মনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের ছোট মেয়ে ইতি বর্মনের চিকিৎসা চলছে মেডিকেল কলেজে।
এই ঘটনার পরেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। প্রধান অভিযুক্ত বীরেন্দ্রনাথ রায়ের ওপর চড়াও হয় স্থানীয়রা। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শীতলকুচি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তার প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে নিয়ে আসা হয় কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এই ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Comments :0