AL SHIFA WHO

‘ফেরাতে হবে প্রাণ’, গাজার হাসপাতালে ‘হু’

আন্তর্জাতিক

আল শিফা হাসপাতালের খোলা চত্বরে গণকবর। এই ছবি এখন ঘুরছে সোশাল মিডিয়ায়।

হাসপাতালই মৃতপ্রায়। কোনওরকমে একেবারে সাধারণ সুশ্রূষা দিতে পারছে কেবল। অথচ আল শিফাই গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল। হাসপতালে প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার বিশেষ আবেদন এবার জানালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’। 
আল শিফায় কেবল বোমাই ফেলেনি ইজরায়েলের বাহিনী। আল শিফার ভেতরে ঢুকেও সেনা চালিয়েছে অপারেশন। বিদ্যুৎ বিহীন ইনকিউবেটরে শিশুরা ধীরে ধীরে নিথর হয়েছে। প্যালেস্তাইনের জনতারই কেবল নয় বিশ্বজুড়ে আল শিফায় ইজরায়েলি সেনার কার্যক্রমকে বর্বরতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। 
শনিবার এই হাসপাতালেই এসেছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা। জরুরি কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম দেওয়ার পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁরা। ‘হু’ সোশাল মিডিয়ায় আবেদন পোস্টও করেছে বিশদে। বলা হয়েছে, ‘‘সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালে প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।’’ 
গাজার উত্তর অংশে এই হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় ইজরায়েলের সেনার অবিরত হামলার পরিস্থিতিকে ‘রক্তস্নান’ বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই। রাষ্ট্রসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এই প্রতিষ্ঠান জানাচ্ছে, মাত্র কয়েকজন চিকিৎসক এবং নার্স এই বাশল হাসপাতাল সামলাচ্ছেন। অথচ এখানেই চিকিৎসরা জন্য আসছেন আহত মানুষ। অপারেশন থিয়েটার অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। নেই বিদ্যুৎ বা জ্বালানি, নেই অক্সিজেন, নেই ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের জোগান। এমনকি রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থাও চালু করা যাচ্ছে না। 
ইজরায়েলের সেনা দাবি করেছিল এই হাসপাতালের নিচে সুড়ঙ্গ করে দপ্তর চালাচ্ছে হামাস। দখলদারি পরও কোনও প্রমাণ এই অভিযোগের সপক্ষে হাজির করতে পারেনি বাহিনী। বরং, হাজার হাজার মানুষের একমাত্র আশ্রয় হয়ে উঠেছে এই হাসপাতালের বিভিন্ন অংশ। কারণ তাঁদের ঘরবাড়ি নেই। এই উদ্বাস্তু মানুষকে এলাকাছাড়া করতে সশস্ত্র অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েল। 
‘হু’-র দাবি, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আল শিফা হাসপাতালকে ফের পূর্ণ সক্রিয় করার কাজ চালানো হবে। এখনই এই হাসপাতালকে চালু করা জরুরি। ২০টি অপারেশন থিয়েটারই ফের চালু করতে হবে। গাজার অন্য হাসপাতালে হামলাতেও উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

Comments :0

Login to leave a comment