বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি অত্যন্ত উষ্ণতার মধ্যে কাটিয়েছে বাড়তি এক মাস। ২ জুন, উষ্ণতা প্রতিরোধ দিবসের, আগে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিশ্ব উষ্ণায়নের বিপদ চিহ্নিত করা হয়েছে এই তথ্য দিয়েই।
ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন, ক্লাইমেট সেন্ট্রাল এবং রেড ক্রস ক্রেসেন্ট ক্লাইমেট সেন্টার যৌথভাবে সমীক্ষা চালিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বিশ্ব উষ্ণায়নের তীব্রতা দেখা হয়েছে ২০২৪’ত ১ মে থেকে ২০২৫’র ১ মে পর্যন্ত। সমীক্ষা প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের জনসংখ্যার ৪৯ শতাংশ বাড়তি ৩০ দিন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরমে কাটিয়েছে।
টানা ১২ মাসের সমীক্ষায় অতিরিক্ত উষ্ণতা সম্পর্কিত ৬৭টি ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব চিহ্নিত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। যেমন ক্যারিবিয়ান দ্বীপ আরুবা ১৯৭ দিন অত্যন্ত উষ্ণ আবহাওয়া ছিল। ১৯৯১ থেকে ২০২০, এই মেয়াদে বছরে গড়ে অতি উষ্ণ দিনের সংখ্যার চেয়ে ৪৫ দিন বেশি থেকেছে চরম জলবায়ু।
এই সমীক্ষকরা বলছেন, বিশ্বের বহু দেশেই উষ্ণতা জনিত অসুস্থতা এবং মৃত্যুর নথি সঠিকভাবে সংগ্রহ করার ব্যবস্থা নেই। ইউরোপে আংশিক ব্যবস্থা রয়েছে। তাতেই দেখা গিয়েছে ২০২২’র গরমে উষ্ণতার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৬১ হাজার।
ভারতে গত কয়েবছর পরপর গ্রীষ্মে অতিরিক্ত তাপমাত্রার দুরন অসুস্থতা এবং মৃত্যু দেখা গিয়েছে। বিশেষ করে দিনমজুরি করে যে অংশ, তার মধ্যে প্রভাব সবচেয়ে বেশি। এমনকি স্কুলের শিশুরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছে গরমে। তার কিছু ঘটনা সংবাদমাধ্যমে এলেও, পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীরা বলছেন, বহু ঘটনাই নজরের বাইরে থেকে যাচ্ছে।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে শিল্পায়নের আগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে সীমায়িত রাখার সমঝোতা হয়েছিল। গত পাঁচ বছরের গড় অনুযায়ী বিশ্বের তাপমাত্রা এর মধ্যেই ১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গিয়েছে। ২০২৪-কে সবচেয়ে গরম বছর চিহ্নিত করা হয়েছে। সে বছরে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বেড়েছে উষ্ণতা।
কেবল তা-ই নয়, পরপর বছরে, দেখা যাচ্ছে উষ্ণতার সর্বোচ্চ মাত্রা থাকছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ন সমানে বাড়ছে বলেই এই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
Extra Month of Heat
বিশ্বের অর্ধেককে বাড়তি এক মাস কাটাতে হচ্ছে অস্বাভাবিক উষ্ণতায়

×
Comments :0