ASHA JALPAIGURI

দিচ্ছেন পোলিও’র টিকা, চলছে জীবিকার দাবিতে প্রচারও

জেলা

স্বাস্থ্যকর্মীর স্বীকৃতি আদায়ের দাবি ব্যাচ পরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পোলিও খাওয়াচ্ছেন আশা কর্মীরা। ছবি: প্রবীর দাশগুপ্ত

দীপশুভ্র সান্যাল, জলপাইগুড়ি 
গোটা দেশের সাথে রাজ্যেও চলছে বাড়ি বাড়ি পোলিও খাওয়ানোর কাজ। শহর গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পোলিও টিকা শিশুদের মুখে তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন আশা কর্মীরা।
তীব্র বঞ্চনা সত্ত্বেও দায়িত্বে অবিচল আশা স্বাস্থ্য কর্মীরা। এদিনই রাজ্যের সরকার আশা স্বাস্থ্য কর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ভাতা মাসে মাত্র ৭৫০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা করেছে। তার প্রতিবাদ জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ আশা স্বাস্থ্যকর্মী ইউনিয়নও। লড়াই চলছে, আবার পরিষেবাও দিচ্ছেন আশাকর্মীরা।
তাঁরা বলছেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, লড়াই মা ও শিশুর বিরুদ্ধে নয়। 
আশা কর্মীদের দাবি, সরকারের স্থায়ী কর্মীর স্বীকৃতি দিতে হবে। মাসে নূন্যতম ২৬ হাজার টাকা বেতন, ১০ হাজার টাকা পেনশন দিতে হবে। মোট সহ ১০ দফা দাবির ব্যাচ পরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের মুখে দু ফোঁটা পোলিও দিচ্ছেন। 
পশ্চিমবঙ্গ আশা স্বাস্থ্য কর্মী ইউনিয়নের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক চুমকি দাস ও সভাপতি নেহার বেগম সহ পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের প্রত্যেক সদস্যবৃন্দ এই কাজ করছেন। করোনাকালে আশা কর্মীদের কাজ সবার নজর কেড়েছে। রাজ্য, দেশের বাইরে রিশ্বব্যাপী তাঁদের কাজ প্রশংসিত হয়েছে। দেশের-১০লক্ষ ৫০ হাজার আশার দিবা রাত্রি নিবিড় স্বাস্থ্য পরিষেবার কারণে ভারতবর্ষে করোনা মোকাবিলা সম্ভব হয়েছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশা কর্মীদের ‘গ্লোবাল হেলথ কুইন’ পুরস্কার দেয়। কিন্তু সে সময়ে প্রতিশ্রুত ভাতা দেওয়া হয়নি আজও। 
সিআইটিইউ অনুমোদিত আশা স্বাস্থ্য কর্মী ইউনিয়নের কর্মীরা জেলার কৃষি , চা- বনবস্তি এলাকার মা ও শিশুর প্রতি দায়বদ্ধ থেকে কাজ করার সঙ্গে নিজেদের জীবন জীবিকার দাবির পক্ষে জনমত সংগঠিত করছেন। ৩ মার্চ থেকে প্রচার শেষে  ১১ মার্চ জেলাশাসক দপ্তর অভিযান হবে বলে জানিয়েছেন সিআইটিইউ নেতা পীযূষ মিশ্র।

Comments :0

Login to leave a comment