Road Accident

ইসলামপুরে পথ দুর্ঘটনা, মৃত ২, জখম ১৪

জেলা

তপন বিশ্বাস- ইসলামপুর

ইসলামপুর শহরে ট্রাফিক পয়েন্টের সামনে দুটি বাসের রেষারেষির ফলে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় দুইজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে শনিবার বিকেল তিনটে নাগাদ। পুলিশ আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশকে কাঠ গড়ায় দাঁড় করিয়েছে শহরের সাধারণ মানুষ। ঘটনায় নিহতদের মধ্যে সোমা মন্ডল (৫)। বাড়ি ইসলামপুর শহরের শিবডাঙ্গিপাড়া এলাকায়, অপর মৃত ব্যক্তির নাম শম্ভু বিশ্বাস(১৭) বাড়ি গোয়ালপোখর থানার নন্দঝার গ্রামে।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যাত্রী ধরার জন্য রায়গঞ্জ গামী দুটি রেষারেষি চলছিল। একটি বাসের চালক অপর একটি পাশের চালককে ধাক্কা মারে এবং বাসের স্টিয়ারিং ধরে টানাটানি করে। এরফলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা টোটোতে ধাক্কা মারে। ওই টোটোতে বেশ কিছু যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ওই শিশুটিও ছিল এবং শম্ভু বিশ্বাসও ছিল তারা ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনার খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার পুলিশ এবং দমকল বাহিনীর একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।তারা আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। 
এদিনের সড়ক দুর্ঘটনার ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ক্রেন এনে ঘাতকবাস থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। 
ঘটনার খবর পেয়ে আসেন ইসলামপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার ডেন্ডুপ ভুটিয়া। তিনি বলেন, আমরা বাসদুটিকে আটক করেছি। আহত ও নিহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যাননিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কার গাফিলতি রয়েছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ঘাতক গাড়িটি।
এদিকে এই সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ট্রাফিক পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে ট্রাফিক পুলিশের সামনেই। এই রেষারেষি পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে। তারা বাইক থেকে টাকা তুলতে ব্যস্ত থাকে। যাননিয়ন্ত্রণে তারা এক প্রকার নিষ্ক্রিয় থাকে। এমনকি রোডের উপরে বাস ও টোটো দাঁড়িয়ে থাকলেও ট্রাফিক পুলিশ সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করে না । এছাড়া প্রতিটি বাস বাসস্ট্যান্ডের ভিতরে ঢোকার কথা থাকলেও বাস ঢুকতেই চায় না। সে ক্ষেত্রে চিইন মাস্টারের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। 
সিপিআই(এম) ইসলামপুর ১ এরিয়া কমিটির সম্পাদক আব্দুল করিম ঘটনার জন্য ট্রাফিক পুলিশ , পৌরসভা ও প্রশাসনকে দায়ী করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ইসলামপুরে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে টোটো বৃদ্ধি পাচ্ছে। টোটর উৎপাতে রাস্তা পারাপার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে। সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পৌরসভা উদাসীন। এ বিষয়ে আমরা মহকুমা প্রশাসনকে একাধিকবার ডেপুটেশন দিয়েছি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ট্রাফিক পুলিশ ৬-৭ জন ওই জায়গায় কর্তব্যরত থাকলেও তারা গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণে নজর দেন না। ওই ট্রাফিক পুলিশের কর্তব্যের যে গাফিলতি রয়েছে বিষয়টি তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানলেও তারা সেদিকে নজর দেয় না কারণ সেখান থেকে তোলা আদায়ের অর্থ পুলিশের বড়কর্তা পর্যন্ত পৌঁছে যায়।

Comments :0

Login to leave a comment