দৈনিক নিয়মের মতো গণহত্যা চলছে গাজায়। বুধবার আরও ৪৭ জনকে হত্যা করেছে ইজরায়েলের সেনা। তার মধ্যে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন ত্রাণ কেন্দ্রে খাবারের খোঁজে গিয়ে।
প্যালেস্তাইনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে মধ্য গাজার নেটজারিম করিডোরের ত্রাণ কেন্দ্রে গুলি চালানো হয়েছে। ১১ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি অন্তত ১০০ জন আহত হয়েছেন।
ত্রাণ কেন্দ্রে টানা প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বারবার গুলি চালিয়ে ৩৯৭ জনকে হত্যার নজির আধুনিক বিশ্বে নেই, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, অথচ, আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলি ইজরায়েলের তরফদারি করে চলেছে পশ্চিম এশিয়ায় আধিপত্যের জন্য।
দক্ষিণ গাজায় আকাশ থেকে বোমা ফেলেছে ইজরায়েল। জেইতুন এলাকায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৮ প্যালেস্তিনীয়। মধ্য গাজার মাঘাজি ক্যাম্পেও চলেও বোমাবর্ষণ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন নিহত ১০জনের মধ্যে রয়েছে এক পরিবারের স্বামী-স্ত্রী এবং দুই শিশু সন্তান।
বসতি এলাকায় ইজরায়েলের হামলার নিন্দা করেছে হামাস। হামাস বলেছে, ‘‘নিয়ম করে হত্যা করা হচ্ছে গাজার নিরস্ত্র নাগরিকদের। অনাহারে মেরে ফেলার ব্যবস্থা হয়েছে। উচ্ছেদ করা হচ্ছে ঘরবাড়ি থেকে। কুড়ি মাস ধরে নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে গাজার বাসিন্দাদের।’’
এদিন নেটজারিম ত্রাণ কেন্দ্রে নিহত এক যুবকের পরিজনরা বলেছেন যে ঘরের শিশুদের জন্য এক ময়দার খোঁজে গিয়েচিল। তাঁরই প্রাণহীন দেহ নিয়ে ফিরতে হয়েছে ঘরে।
Gaza Aid Firing
খাবার আনতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরছেন গাজার বাসিন্দারা

×
Comments :0