জম্মু ও কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার চূড়ান্ত শুনানি শুরু করছে সুপ্রিম কোর্ট। ২ আগস্ট থেকে প্রতিদিন হবে শুনানি।
মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ। ২০১৯’র ৫ আগস্ট রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত হিসেবে এই ঘোষণা করেন তিনি। জম্মু ও কাশ্মীরে বিরোধী সব রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি রেখে দিল্লিতে সংসদে পাশ হয় সংশোধনী।
কেবল সাংবিধানিক মর্যাদা কেড়ে নেওয়াই নয়। জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়। পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেওয়া হয়। রাজ্য বিধানসভা তখন ছিল না। কেন্দ্রের শাসনে ছিল জম্মু ও কাশ্মীর। ৩৭০ ধারা বাতিলের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে গোড়া থেকেই। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় আবেদনও। ২০২০’তে আবেদন দায়ের হলেও এতদিন দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা হয়নি।
সাংবিধানিক বেঞ্চ এদিন জানিয়েছে যে ২৭ জুলাই পর্যন্ত আবেদনে সংশোধন করা যাবে। এর মধ্যে আবেদন প্রত্যাহার করেন শেহলা রশিদ এবং শাহ ফয়সল।
মামলায় বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে কেন্দ্রের হলফনামা। মামলার শুনানিতে এর আগে কেন্দ্র বলেছিল, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর নজিরবিহীন উন্নয়ন হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। রাজ্যে এসেছে স্থিতিশীলতা।
সোমবার কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে জানায় এই হলফনামার বক্তব্য সাংবিধানিক বৈধতা পরীক্ষায় বিবেচনা করা উচিত হবে না। কেন্দ্রের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এই আবেদন দাখিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টে।
Comments :0