‘নির্ভয়া’ মামলায় অপরাধের সাজা ঘোষণা হয়েছিল। কামদুনি মামলায় অপরাধীরা খালাস হয়ে গেল। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সব অংশকে নিয়ে জারি থাকবে লড়াই। কামদুনি মামলায় রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা করেছে সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি।
সংগঠনের রাজ্য কমিটি এদিন বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘২০১৩ সালে এই নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল। শিউড়ে উঠেছিল সমগ্র সমাজ। প্রথম দিন থেকে আক্রান্তের পরিবারের পাশে ছিল সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি’’।
কামদুনির ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় দুই ধর্ষকের ফাঁসির সাজা খারিজ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সাজা কমিয়ে করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে দোষী আরও চার জনের সাজা মকুবও করেছে আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিতে গিয়ে জানিয়েছিল প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি সিআইডি।
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি জাহানারা খান এবং সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ঘটনার পর ওই এলাকায় গিয়ে প্রতিবাদীদের মাওবাদী বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন। কাজের কাজ কিছু করেননি। তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলেছিল মহিলা সমিতি। ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রঙ লাগানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের হস্তক্ষেপে তা করা যায়নি।’’
মহিলা নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ‘‘বিভিন্ন অংশের আন্দোলনের তীব্রতায় অপরাধীরা ধরা পড়ে ও প্রাথমিক ভাবে শাস্তি পায়। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ১৫ দিনে অপরাধীরা ধরা পড়বে। অথচ আজ ঘটনার দশ বছর পর অপরাধীরা শাস্তি পাওয়ার বদলে বেকসুর খালাস হলো। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না।’’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ঘটনার পর পুরো এলাকাকে সন্ত্রস্ত করে রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস, দলদাস পুলিশ সঠিক ভূমিকা গ্রহণ করেনি তা স্পষ্ট। পুলিশ প্রশাসনের সাথে তৃণমূলের যোগসাজশে তথ্যকে লঘু করা, প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা, এসবই দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হচ্ছে।’’
Comments :0